মার্চে এফডিসির ২৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন হয়নি
সিনেমা নির্মাণের আঁতুরঘর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি)-এর ২৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মার্চ মাসের বেতন হয়নি
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে বাংলাদেশে সিনেমা নির্মাণের আঁতুরঘর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি)-এর ২৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মার্চ মাসের বেতন হয়নি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কলাকুশলী ও কর্মচারী লীগ (সিবিএ)-এর সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, এপ্রিলের ২০ তারিখ পার হলেও তারা মার্চের বেতন এখনো পাননি। এর আগে ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে বেতন হতো, কিন্তু এবার সবার বেতন আটকে আছে।
তিনি জানান, মার্চের বেতন না হওয়ায় বর্তমান এই সংকট সময়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এফডিসির তৃতীয় ও চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারীরা। তাদের পক্ষে আহসান হাবিব বলেন, বাড়িভাড়া আটকে আছে, ঘরে বাজার নেই, মুদি দোকানে বাকি করে খেতে হচ্ছে। এভাবে আর বেশিদিন যাবে না। আমরা একপ্রকার মানবেতর দিনযাপন করছি।
বেতন না হলে আটকা অবস্থা চলতে থাকলে কদিনের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মতো এফডিসির স্টাফদেরও রাস্তায় নেমে বেতনের জন্য আন্দোলন করতে হবে বলে মনে করেন আহসান হাবিব।

এফডিসি সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও নিজস্ব আয় দিয়ে এসব কর্মচারীর প্রতিমাসের বেতন দেয়া হয়। যদিও মাসিক যে বেতন পরিশোধ করা হয় সেটি এফডিসির আয়ের তুলনায় বেশী। তাই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বেতনের যোগান দেয়া হয়।
এফডিসির নিরাপত্তারক্ষী জামাল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মার্চের বেতন এখনো পাইনি। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে আমাদের বেতন হয়। ব্যাংক খোলা থাকলেও আমাদের বেতন হয়নি। লকডাউনে এফডিসির অফিস বন্ধ থাকলেও আমরা নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিদিনই ডিউটি করে যাচ্ছি। লোকমুখে শুনেছি আগামীতে তথ্য মন্ত্রণালয়ে মিটিং হবে, তারপর আমাদের বেতন হতে পারে।
কর্মচারীদের পক্ষে আহসান হাবিব বলেন, এফডিসির এমডি বরাবর বেতনের তাগিদ দিয়েছি। তিনি সচিব ও মন্ত্রী মহোদয় বরাবর জানিয়েছেন বলে জানান। বেতনের পাশাপাশি গত দুই বছরের ওভারটাইমের টাকাও আমরা পাই না। সেটিও চেয়েছি।
বেতন আটকে থাকা প্রসঙ্গে এফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রী বড়ুয়ার সঙ্গে আলাপ করলে তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, লকডাউনের কারণে অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেতন আটকে আছে। আশা করছি, সবার শিগগির বেতন হয়ে যাবে।