যতই বিনা পয়সায় বা বিনামূল্যে পাঠ্যবই সরবরাহ করা হোক না কেন যতই স্কুল-কলেজগুলিকে টিনের ঘর থেকে দ্বিতল-ত্রিতল দালানে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হোক না কেন, যতই দামী দামী কাঠ দিয়ে চেয়ার-বেঞ্চ তৈরী করে দেওয়া হোক না কেন, শিক্ষকের ডিগ্রী অভিজ্ঞতা বেতন যতই বৃদ্ধি করা হোক না কেন, যতই কঠোরভাবে পরীক্ষার খাতা দেখা ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে উচ্চতর শ্রেণীতে উঠবার যোগ্যতা যাচাই করা হোক না কেন-যতই জিপিএ-৫ গোল্ডেন ফাইভ শিক্ষার্থী কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা অর্জন করুক না কেন-যতই পাঁচ ওয়াক্ত নমায, কোরান পাঠ, মাথায় টুপি পরিয়ে আরবী পড়ানো হোক না কেন যতই বা গীতা, উপনিষদ, রামায়ন-মহাভারত প্রভৃতি পড়ানো হোক না যতই না দর্শনধারী কিন্ডার গার্টেন খুলে ইংরেজী শিক্ষার মাধ্যমে কোর্ট-প্যান্ট-টাই পরিয়ে বাইবেল-ত্রিপিটক পড়িয়ে উচ্চ শিক্ষায় সগৌরবে উত্তীর্ণ হওয়ার সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে তাতে কি আসলে জ্ঞানী, সৎ, ধার্মিক ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ তৈরী হচ্ছে?
চোখে যা দেখা যাচ্ছে-তাতে তেমন কিছু চোখে পড়ছে কি?

সত্য বটে, বাংলাদেশে আজ অসংখ্য স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে এবং হচ্ছে; শিক্ষক-শিক্ষিকা-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কল্পনাতীতভাবে (অতীতের তুলনায়) বৃদ্ধি করে তা নিয়মিত প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে-ততই যেন দেখা যায় শ্রেণী কক্ষে পাঠদান হ্রাস পাচ্ছে-সকল পর্য্যায়ে ঐ শিক্ষক-শিক্ষিকারাই পাড়ায় পাড়ায়, অলিতে গলিতে, এমন কি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠরত ছেলে মেয়েদের জন্যেও খোলা হয়েছে অসংখ্য কোচিং সেন্টার। সেখানে ভর্তি না হলে ভাল রেজাল্ট করা যাবে না-এমন কি হয়তো সাধারণভাবে পাশও করা যাবে না (এমন প্রলোভন বা ভয় দেখিয়ে)।
আগে শুনতাম আমাদের দেশে ডক্টরেট করতে গাইড শিক্ষককে খুশী করতে হয়, মেয়ে হলে সন্ধ্যার পর একা একা পরামর্শ নিতে দীর্ঘদিন ধরে যেতে আসতে হয়। তখন ভাবতাম, এটাই হয়তো ডক্টরেট ডিগ্রী পাওয়ার নির্দোষ রীতি। আজ দেখি এমন ‘পরামর্শদাতা’র সংখ্যা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমন কি পবিত্র মাদরাসাগুলিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে অনেক সাধারণ শিক্ষক-মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হওয়া ও কারারুদ্ধ হওয়ার খবরও বিরল নয়।
বিজ্ঞাপন
এত কিছু যে ঘটছে সরকার যে তা জানেন না-তা কিন্তু আদৌ সত্য নয়। জানেন বলেই শিক্ষামন্ত্রী স্বয়ং মাঝে মাঝে হুংকার ছাড়েন, “নিয়মিত ক্লাশ করতে হবে-কোচিং সেন্টারগুলি বে-আইনী ঘোষণা করা হলো এবং সেগুলি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে-নইলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকারা বে-আইনী কাজ করার দায়ে অভিযুক্ত হবেন। কিন্তু এর পরিণতিতে দেখা যায়, প্রায়শ:ই এমন কি প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারাও স্কুলে হাজিরা দিয়েই বেরিয়ে যান থানা বা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের তৈল মর্দনে তাঁদের অফিসে। বাদ-বাকী শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনেকেই চলে গেছেন স্কুল থেকে বাড়ীতে কোচিং এবং সন্ধ্যায় অন্যত্র কোচিং ক্লাশ করতে। ছেলেমেয়েরা কোচিং সেন্টারগুলিতেও নিয়মিত বিপুল অর্থের বিনিময়ে ভর্তি হতে বাধ্য হন শিক্ষার্থীরা নইলে তো পাশ করা যাবে না-জীবনটাই বৃথা হয়ে যাবে। আবার কোচিং সেন্টারে অন্য স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে পড়লে হবে না-পড়তে হবে নিজ নিজ স্কুলের বা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে নইলে “গোল্লা” জুটতে পারে।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে ঠিকমত শিক্ষাদান করা হচ্ছে কিনা তা দেখা-শুনা করার জন্য জেলায় জেলায় স্কুল-পরিদর্শক বা ইনসপেক্টার অব স্কুলস (উপজেলা পর্য্যায়েও আছে কি না জানি না) বহু টাকার বেতন-ভাতা দিয়ে নিয়োগ করা আছে। তাঁরা ক্বচিৎ কদাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অগ্রিম খবর দিয়ে খেয়ে থাকেন। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তাঁর বিপুল সংবর্ধনা, নতুন নতুন জামা-কাপড় পরে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাধ্যতামূলক উপস্থিতি, পরিদর্শকের দু’একটি ক্লাস পরিদর্শনের পর চব্য চষ্য লোহ্য পেয়র ব্যবস্থা এবং ক্ষেত্র বিশেষে নানাভাবে পকেট ভর্তি করে, কলাডা, মূলাডা মুরগীডা গাড়ীর পিছনে দিয়ে দেওয়া, মন্তব্যের খাতায় পরিদর্শক মহোদয়ের কলমের শক্তি নিয়োগ করে সপ্রসংস মন্তব্র করে বিদায় গ্রহণ। বিষয়টা অনেক পুরাতন কাল থেকে চলে আসলেও জিপিএ শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের সময় থেকে তার উত্তরোত্তর বিকাশ হচ্ছে। ফলে স্কুলটির উন্নয়ন বরাদ্দের বিপুল স্ফীতিও ঘটে থাকে বলে অনেকের কাছেই শুনেছি।
এই শিক্ষা থেকে অন্য শিক্ষা

এদের হুকুম ছাড়া গাছের পাতা নড়ে না। তাই অন্যায় দুর্নীতি করারও যেন অধিকার তাঁদের রয়েছে-তবে এর কৌশল জানা থাকতে হয়। কৌশলী না হলে কিছুটা বিপদের আশংকা। ধরা পড়লে “বিভাগীয় শাস্তি”, “ও এস ডি”। ব্যস। অত:পর সঙ্গোপনে পদোন্নতিসহ ভিন্ন স্টেশনে পদায়ন।
সবাই দুর্নীতি করেন তা নয়-কিছু অংশ করেন। যাঁরা করেন তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরও কঠিন। রীতিমত কঠিন। সরকারের অনুমতি ছাড়া কোন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যায় না। এমন আইন রাজনৈতিক নেতারাই সংসদে বসে করেছেন। সরকারের পূর্বানুমতি? কে দেবেন? তাঁরাই তো। উপরে যাঁরা থাকেন তাঁদেরই অধিকার এই অনুমতি দেওয়ার। সুতরাং আমলার বিরুদ্ধে মামলার অনুমতিও আমলাই দেবেন-তবে ঊর্ধতন আমলা।
এমন চমৎকার শিক্ষা আমাদের যে ‘শিক্ষিত’ রাজনীতিক-সাংসদেরাই এমন আইন প্রণয়ন করে অনুমতি দানের ক্ষমতাটা আমলাদের বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার আমলাদের হাতেই দিয়েছেন নিজেদের হাতে না রেখে। এর মধ্যেও কোন খবর আছে কি না-কে জানে?
বিসিএস প্রশাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রকৌশল ও কৃষি-সকল বিভাগের কর্মকর্তারাই এমন অধিকার বোগ করেন।
বিসিএস ফিন্যান্স।
এই বিভাগে যাঁরা চাকুরী পান তাঁদের অনেকের ভাগ্যের দরজা এমনভাবেই খুলে যায় যে আক্ষরিক অর্থেই তাঁরা রাতারাতি কোটিপতি বনে যেতে পারেন-বিশেষ করে যাঁরা ব্যাংক কর্মকর্তা। বাংলাদেশ ছোট্ট একটি দেশ হলে কি হবে-ব্যাংকের অন্ত নেই। বর্তমানে সরকারি ব্যাংক ৪টা, বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা প্রায় ৬০। যাঁরা দ্রুত বড় লোক হতে চান এবং বড় বড় লোন দিতে পারেন-তাঁরা আবার ব্যাংক পরিচালকদের মধ্যে ক্ষমতাবানদের সাথেও সুসম্পর্ক রক্ষায় শিক্ষিতা ঐ পরিচালকরা অনেকে আবার স্ত্রী, ভাই, সন্তানসহ সকলেই পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত হয়ে অসীম ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকেন। তাঁদের পছন্দসই হলে হাজার হাজার কোটি টাকার লোন দিব্যি দিয়ে দেন-অনেক ক্ষেত্রেই তা আবার আইনানুগ জামানত ছাড়াই। দুষ্টু লোকেরা বলে-এঁদের অনেকের আবার লোন গ্রহীতা (যদি বেনামী না হন) হয়ে সেই টাকা দিয়ে দু’চারজন অংশীদার নিয়ে নতুন ব্যাংক খুলে বসেন এবং দেশ-বিদেশে কোটি কোটি টাকা নানাপথে পাচার করেন। টাকার মালিক কিন্তু জনগণ-তাঁদের রক্ষিত সঞ্চয় এভাবে দিব্যি ব্যবহার হয়ে যাচেছ। এঁরা সবাই কিন্তু শিক্ষিত ।
আবার বহু সর্টিফিকেটধারী আছেন যাঁরা কী বাংলায়, কী ইংরেজীতে একটি চিঠির খসড়াও প্রস্তুত করতে পারেন না-যদিও তাঁরা উচ্চপদে আসীন। তাই এক বা একাধিক পিএস লাগে (এবং সরকারিভাবে তা পেয়েও থাকেন) চিঠির মর্ম জেনে নিয়ে তার খসড়া তৈরী ও টাইপ করার জন্য।
এহেন বয়ান হাজার পৃষ্ঠা ধরে লিখলেও শেষ হবে না। তাই বয়ানের বিরতি টানছি।

এক. সমাজদেহে সুশিক্ষা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং সে লক্ষ্যে প্রথমেই পাঠ্য বই থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতা সম্বলিত লেখা প্রত্যাহার করে নিতে হবে;
দুই. সরকারিভাবে ঘোষনা দিতে হবে, সকল সাম্প্রদায়িক বই, সংবাদপত্র ও অপরাপর প্রকাশনা নিষিদ্ধ করা হলো;
তিন. সকল প্রকার সাম্প্রদয়িক রাজনীতি, রাজনৈতিক দল, প্রচার-প্রচারণা-ওয়াজ কঠোরবাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা (এটি সংবিধান সংশোধন করে স্পষ্ট ভাষায় লিপিবদ্ধ করতে হবে);
চার. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রাম মোহন রায়, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, ড. মুহাম্মদ শহদিুল্লাহ্, সুকান্ত, জসীমউদ্দিন, বন্দে আলী মিয়া, শামসুর রহমান লিখিত কবিতা, প্রবন্ধ গল্প পাঠ্যবইগুলিতে বাধ্যতামূলকভাবে গুরুত্ব সহকারে স্থান দিতে হবে। অন্যান্য অসাম্প্রদায়িক লেখক-লেখিকার রচনাসমূহের সাথে।
পাঁচ. সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ কোন মামলা করতে হলে অগ্রিম বা পরবর্তীতে কারও অনুমতি গ্রহণের আইন বাতিল করতে হবে;
ছয়. সকল প্রকার নিবর্তনমূলক আইন বাতিল এবং সৎ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এই পুরস্কার যাঁরা পাবেন তাঁদের সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রথিতযশা শিল্প-সহিত্যিক-সাংবাদিক নিয়ে গঠিত কমিটিকে দিতে হবে এবং তাঁরাই র্সসম্মতভাবে তালিকা চূড়ান্ত করবেন;
সাত. ইতিহাস ও বিজ্হান শিক্ষার ব্যাপক প্রসার বাধ্যতামূলকভাবে ঘটাতে হবে;
আট. সরকারি ৪টি ব্যাংক মিলে একটি সরকারি ব্যাংক রেখে বাকীগুলো তুলে দিতে হবে। তবে তুলে দেওয়া ব্যাংকগুলির কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানা ক্ষেত্রে নিয়োজিত করতে হবে। সমান বেতন-ভাতা ও মর্য্যাদায়;
নয়. বেসরকারি আর কোন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া যাবে না। যে সকল বেসরকারি ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার বেশী ঋণ খেলাপি আছে তারা আগামী ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সুদাসলে তা পরিমোধ না করতে পারলে সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতার ও সুপারিশকারী আমৃত্যু কারাবন্দী থাকার বা ফাসিতে ঝুলানোর আইন করতে হবে। এ আইন সরকারি ব্যাংকের অনুরূপ ঋণ খেলাপী ও সুপারিশকারীর ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য হবে;
দশ. আদৌ কোন কি-ারগার্টেন রাখা বা ইংরেজী, আরবী, সংস্কৃত, ঊর্দু বা হিন্দী ভাষার শিক্ষাদানের জন্য পৃথক কোন প্রতিষ্ঠান চলবে না;
এগার. মাদরাসাগুলিতে বাংলা বাষার মাধ্যমে সাধারণ ও বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্তা বাধ্যতামূলক করতে হবে
বার. আরবী ও কোরান, গতিা, বাইবেল প্রমুখ পবিত্র ধর্মগ্রন্থে শিক্ষার্থী বা তাঁদের অভিভাবকেরা শিক্ষা দিতে চাইবেন-তাঁরা গৃহশিক্ষক রেখে বাড়ীতে তার ব্যবস্থা করবেন;
তের. বিদেশী ভাষা যাঁরা শিখতে চান তাঁদের জন্যে বিদেশী ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঋড়ৎবরমহ খধহমঁধমবং ওহংঃরঃঁঃব এ নিজ ব্যয়ে তার ব্যবস্থা করবেন।
চৌদ্ধ. বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণের নিয়ম বাতিল করে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অভিভাবক-অভিভাবিকাদের বেকার-ভাতা ন্যায্য পরিমাণে বিতরণ করতে হবে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে। এ জাতীয় শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পর্য্যন্ত ট্যুইশন ফি আদায় করা চলবে না। পরীক্ষার ফিও না;
পনের. সকল পর্য্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঁচ বছর অন্তর অন্তর নিজ নিজ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে;
ষোল. সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যায় আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে;
সতের. অনুরূপভাবে সুসজ্জিত প্রয়োজনানুরূপ আসন সম্বলিত কমপক্ষে ১০০০ শয্যার হাসপাতাল সকল জেলা শহরে ও ৫০ শয্যার হাসপাতাল সকল উপজেলাগুলিতে পর্য্যায়ক্রমে স্থাপন করতে হবে;
আঠারো. সকল পর্য্যায়ে হাসপাতালে নারী-পুরুষ সম সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীর নিয়োগ দিতে হবে এবং ক্রমান্বয়ে সকল বিষয়ে সর্বত্র বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষাকে কর্ম ও জীবনমুখী ও স্বনির্ভরতা শিক্ষার অনুকূল করে মানবিকতার চাহিদা পূরণ করতে হবে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)
বিজ্ঞাপন