চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মাদারীপুরে ধর্ষণের শিকার দুই শিশু হাসপাতালে

মাদারীপুর সদর ও রাজৈরে ধর্ষণের শিকার হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪ বছর ও ১১ বছরের দুই শিশু। ভয়ভীতি ও সালিশ মীমাংসার কথা বলে হাসপাতালে এতদিন তাদের চিকিৎসা বা থানায় অভিযোগ করতে দেয়নি স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।

এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যের অবনতি ও স্থানীয়ভাবে বিচার না পেয়ে অবশেষে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের। এছাড়া এ ঘটনায় মাদারীপুর ও রাজৈর থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

তবে মামলা হলেও এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি কোন আসামি।

৪ বছরের শিশুটি যন্ত্রণায় এখন দিন কাটাচ্ছে সদর হাসপাতালের বেডে। ১৫ জুলাই ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ১৫ দিন পর্যন্ত পায়নি তেমন চিকিৎসা। ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দিয়েছে শিশুটির মা-বাবা। প্রভাবশালী মহলের ভয় আর সালিশ মীমাংসার আশায় বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেছেন তারা। কিন্তু শিশুটি সুস্থ্য না হওয়ায় ও সালিশ বিচার না পেয়ে ভর্তি করা হয় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে।

একইসাথে সদর থানায় করা হয় ধর্ষণ মামলা। দূরের কেউ নয়, মায়ের মামাতো ভাইয়ের হাতেই ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি।

জানা যায়, নানা বাড়ি থেকে পড়াশোনা করত ১১ বছরে শিশুটি। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সে। গত ২০ জুলাই প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় রেজাউল নামের স্থানীয় এক যুবক রাস্তা থেকে জোর করে ধরে নিয়ে যেয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

স্থানীয় প্রভাবশালী রাজু মোল্লা, তাজু মোল্লা, দবির মোল্লা বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলে এবং মামলা করতে নিষেধ করে। তাদের ভয়ে মেয়ের চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে পারেনি ছাত্রীর বাবা। ১০-১২ দিন পার হলেও প্রভাবশালীরা বিচার না করায় এবং মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজৈর থানায় মামলা করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তারা। বর্তমানে ছাত্রীটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা ধর্ষণের শিকার দুই শিশুর বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি পুলিশ কর্মকর্তারা।

ধর্ষণের ঘটনার অনেকদিন পর ডাক্তারি পরীক্ষা করালে আলামত পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শশাঙ্ক ঘোষ। তবে পরীক্ষায় যা পাওয়া যাবে তাই রিপোর্ট দিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবি দুই শিশুর পরিবারের।