মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী দিনে খেলেছে চার দল। মাঠে নামার অপেক্ষায় কেবল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকা।
টুর্নামেন্টে নামার আগে নিজের দল নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন, ‘আমি দল নিয়ে অনেক খুশি। আমাদের অনেক ভারসাম্যপূর্ণ সাইড। মাঠে প্রমাণ করতে হবে যে দল হিসেবে আমরা কতটা ভালো। মনে করি স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই আমাদের যে দল, তা দিয়ে ইতিবাচক ফল পাবো।’
দলটির ব্যাটিংয়ে আছে গভীরতা, বোলিংয়ে বৈচিত্র্য। সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শামসুর রহমান শুভ, মাহমুদুল হাসান জয় গাজীর সলিড ব্যাটসম্যান। অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন জিয়াউর রহমান, সৈকত আলি, নাহিদুল ইসলাম।
স্পিনে অভিজ্ঞ তাইজুল ইসলামের সঙ্গে সঞ্জিত সাহা ও রাকিবুল হাসান। আর পেস আক্রমণে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে শরিফুল ইসলাম। দলটির তৃতীয় পেসার বিপ টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোর তোলা মেহেদী হাসান।
ব্যাটিং, বোলিং মিলিয়ে খুবই ভারসাম্যপূর্ণ দল হয়েছে চট্টগ্রামের। একক কোনো খেলোয়াড়ের দিকে না তাকিয়ে মিঠুন চান দল হিসেবে মাঠে লড়তে, ‘আমরা যেহেতু একটা দল- গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। কাজেই একজন কাউকে নিয়ে আমি খুব আশাবাদী না, পুরো দল নিয়ে আশাবাদী।’
‘অবশ্যই আমরা সবাই জানি লিটন এবং সৌম্য, তাদের সামর্থ্য কি। তাদের দিনে তারা একা ম্যাচ জেতাতে পারে। সেই সামর্থ্য তাদের আছে। আর ফর্মের কথা যেটা বলবেন- প্রত্যেকটাই নতুন ম্যাচ। এই পর্যায়ে কোনো খেলোয়াড়ই চিন্তা করে না গত দুই-তিন ম্যাচ কী করলাম। চিন্তা করাও উচিত না। একটা ম্যাচ ভালো খেললে কিন্তু পেছনে কী হল সবাই ভুলে যায়। কাজেই পেছনে না দেখে সামনে নতুন আরেকটা সুযোগ আছে এভাবে দেখা উচিত।’
‘কালকে খেলার আগে অনেকেই চিন্তা করেছে খাতা-কলমে কারা কতটা শক্তিশালী। কিন্তু গতকালকে খেলা দেখে একটা পরিষ্কার ধারণা এসেছে যে, মাঠের খেলাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, খাতা কলমের না। উইকেট মনে হয়েছে খুব ভালো। হাই-স্কোরিং ম্যাচ হবে। যদি এরকম উইকেট থাকে তাহলে যত দিন যাবে আরও ভালো ক্রিকেট সবাই দেখবে আশা করি।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এবারই প্রথম নেতৃত্ব পাওয়া মিঠুন চান দলের সকল খেলোয়াড়কে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দিতে, ‘অবশ্যই শতভাগ স্বাধীনতা থাকবে সবার। আমাদের ব্যাটিংয়ের গভীরতা অনেক। প্রথমে যেটা বললাম, আমি একজনের উপর আশা করছি না, যার যার দিনে সে ম্যাচ জেতাবে। কোনদিন আমি জেতাতে পারি, কোনদিন মোস্তাফিজও জেতাতে পারে। মোস্তাফিজও এক বলে ছয় মেরে ম্যাচ জেতাতে পারে। সেই সামর্থ্য তার আছে। আমার কাছে প্রত্যেক খেলোয়াড় সমান প্রাধান্য পাবে।’
‘প্রথমত, আমি সম্মানিত এই কারণে যে আমাকে যোগ্য মনে করেছেন তারা। আমার নিজের দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করব দলের সেরা পারফরম্যান্স বের করে আনতে। আর লক্ষ্যের কথা যেটা বললেন, কেবল শুরু হল। আগামীর চিন্তা করিনি। বর্তমানে থাকতেই বেশি পছন্দ করি। আমি ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাববো।’
দলের পেস আক্রমণ নিয়ে মিঠুন বললেন, ‘আমরা সবাই জানি মোস্তাফিজের সামর্থ্য ও কি করতে পার। ওর ব্যাপারে নতুন কিছু বলার নাই। আর শরিফুল খুবই প্রতিভাবান বোলার। ওর গতি আছে, নিয়ন্ত্রণ আছে। ওকে নিয়ে খুবই আশাবাদী। আর মেহেদী যে ছেলেটা, ওকে নেটে যতটুকু দেখেছি ওর নিয়ন্ত্রণ অনেক ভালো। আর সৌম্য, জিয়া ভাই যারা আছে, তাদের যদি প্রয়োজন হয়, যদি দেখা যায় স্পিন কাজ করছে না, তারাও সামর্থ্যবান দুই-তিন ওভার বল করে দেয়ার জন্য।’
‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে একটা দলের অধিনায়কত্ব করতে হলে আপনার হাতে বিকল্প দরকার। সেই বিকল্প আমার হাতে আছে। এক-দুই বোলার কোনদিন ক্লিক না করতে পারে। আমার জন্য রিকভারি করার অপশন না থাকলে সেটা কঠিন। যেহেতু আমার দলে পুষিয়ে নেয়ার বিকল্প আছে, মনে করি মাঠ চালানো খুব সহজ হবে।’