রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ২৩১ জনকে ডিগ্রী ও সর্ব্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৪ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক প্রদান করেছেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের প্রতি মজুতদার, মুনাফালোভীদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বিকেলে চুয়েটের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান।
এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, এই দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে পরিকল্পিত উপায়ে বিদ্যমান সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে প্রকৌশলীগণ টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা দিয়ে থাকে। তাই আগামী ৫০ থেকে ১০০ বছর পর বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমন হওয়া উচিত বা বাংলাদেশের অবস্থান কোন স্থরে পৌঁছাবে তা বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য নবীন প্রকৌশলীদের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, পুঁথিগত বিদ্যা নয়, দেশ বিদেশের সর্বশেষ তথ্যসমৃদ্ধ শিক্ষা,গবেষণা এবং সৃজনশীল কর্মকান্ডে যাতে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হতে পারে তার দ্বার উন্মোচন করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে প্রকৌশলীদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ২৩১ জনকে ডিগ্রী ও সর্ব্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৪ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা সমাবর্তনে অংশ নেন ।
সমাবর্তনে ডিগ্রি পাওয়াদের মধ্যে স্নাতক রয়েছেন ২ হাজার ১৪৮জন, স্নাতকোত্তর ৭৯ জন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ২ জন ও পিএইচডি ২ জন রয়েছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ, চুয়েট উপাচার্য ড.মোঃ রফিকুল আলম, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ,শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাউজান উপজেলার ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে তিন বছর যাবত প্রতিদিন চলমান স্কুল ফিডিং মিড ডে মিল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২২ হাজার ২শ ৬০ টি টিফিন বক্স বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
এসময় বিভাগীয় কমিশনার মো আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো ইলিয়াস হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বক্তৃতা করেন।