ব্যাপার অনেকটা এমন যে, দলে রাখাও যাচ্ছে না আবার ফেলে দেয়া তো সম্ভবই নয়। ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে নিয়ে আপাতত এমন ভাবনাই রিয়াল মাদ্রিদ কোচ হুলেন লোপেত্তেগি। ডাগআউটে বসিয়ে রেখে প্রতিভা ধ্বংসের চেয়ে ব্রাজিলিয়ান উদীয়মান তারকাকে তাই রিয়ালের সংরক্ষিত দল কাস্তিয়াতে খেলানোই যুক্তিযুক্ত মনে করছেন লস ব্লাঙ্কোস বস।
ভিনিসিয়াসকে মনে করা হচ্ছে রিয়াল ও ব্রাজিলের ভবিষ্যৎ তারকা। বয়স ১৭ হওয়ার আগেই গত বছর ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে ৪৫ মিলিয়ন খরচ করে তাকে কিনে রেখেছিল ইউরোপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চলতি বছর ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর উঠতি এ তরুণকে মাঠে নামানোর অনুমতি পেয়েছে রিয়াল। ব্রাজিলিয়ান বিস্ময়বালক ইতিমধ্যে খেলে ফেলেছেন প্রাক-মৌসুমের ম্যাচগুলোতেও।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস এবং রোমার মতো দলের বিপক্ষে প্রাক-মৌসুমে দেখা গেলেও লা লিগায় এখনো অভিষেক হয়নি ভিনিসিয়াসের। বাস্তবতা হচ্ছে, লোপেত্তেগির পরিকল্পনায় তেমনভাবে রাখাও হয়নি তাকে।
খেলার জন্য যে ভিনিসিয়াসকে দলে রাখা হচ্ছে না তা কিন্তু নয়। লোপেত্তেগি বলছেন লা লিগার মতো ইউরোপ সেরা লিগে খেলার জন্য মানসিকতা বা পরিপক্বতা এখনো গড়ে উঠেনি ভিনিসিয়াসের। ব্রাজিল থেকে উড়িয়ে এনে ধুম করে রিয়ালের মতো এক ক্লাবের জার্সি গায়ে মাঠে নেমে সদ্য ১৮ বছর বয়সে পা দেয়া এক তরুণ কতটা চাপ নিতে পারবেন সেটা নিয়েই ভাবনায় লোপেত্তেগি।

অন্যদিকে ভিনিসিয়াসকে পেতে লাইন ধরে আছে স্পেনের নয়টি ক্লাব। ভবিষ্যতের তারকাকে অন্যকোনো ক্লাবে খেলতে না দিয়ে অবশ্য ঘরেই রাখছে রিয়াল। রিয়াল মাদ্রিদের দ্বিতীয় বিভাগের দল ‘কাস্তিয়া’তে খেলতে পাঠানো হচ্ছে তাকে। সবকিছু ঠিক থাকলে স্পেনের দ্বিতীয় বিভাগের লিগ সেগুন্দা ডিভিশন বিতে লাস পালমাসের বিপক্ষে মাঠে নামবেন ভিনিসিয়াস।
তাতে একাধিক লাভ রিয়ালের। ডাগ আউটে বসে থেকে ভিনিসিয়াসের প্রতিভায় মরিচাও ধরবে না। ইউরোপের ফুটবলের সঙ্গে পরিচয়টাও হয়ে যাবে এই ফাঁকে। আবার যখন প্রয়োজন পড়বে তখন মূল দলেও খেলিয়ে দেয়া যাবে তাকে।