রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় ওই স্কুুলের ছাত্রী ও অভিভাবকরা চলমান আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
এসময় প্রায় দুই ঘণ্টা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকেরা আলোচনা করেন। তবে দীর্ঘক্ষণ তারা স্কুলের ভেতর থেকে বের না হওয়ায় বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকেরা জোর করে গেটের ভেতরে ঢুকে যান। পরে শিক্ষার্থীরা বের হওয়া শুরু করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা জানায়, ভেতর থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে।
এর আগে অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অপরাধে তার বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছিলো অরিত্রি অধিকারীর বন্ধুরা। দাবি মেনে নেওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
মোবাইলফোন নিয়ে হলে প্রবেশ এবং নকল করার অপরাধে অরিত্রি অধিকারীর বাবা-মাকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ তলব করেন ৩ ডিসেম্বর।
মেয়ের সামনেই বাবা-মা একাধিকবার ক্ষমা চাওয়ার পরও অভিযোগ থেকে রেহাই পায়নি অরিত্রি। ওই দিনই শান্তিনগরের বাসায় নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে অরিত্রি। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভিকারুননিসা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একাধিক সিদ্ধান্ত আসায় বৃহস্পতিবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশ না নিলেও অরিত্রির বন্ধুরা সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কলেজের প্রধানগেটে কর্মসূচি পালন করে।
এসময় ছয় দফা দাবি তুলে ধরে তারা। শিক্ষার্থীরা বলছে, বিশেষ সমাবেশ করে অরিত্রির বাবা-মায়ের কাছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ক্ষমাও চাওয়ার দাবি করে আসছিলো তারা।