চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

ভালো উইকেটে না খেললে বাংলাদেশের ক্রিকেটের আরো পতন হবে: আজহারউদ্দিন

KSRM

ভারতীয় ক্রিকেট লিজেন্ড মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিন বার নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশকে। তবে শেষ দিকে ফিক্সিং বির্তকে জাতীয় দল থেকে নির্বাসিত হতে হয় তাকে।

যদিও ক্রিকেটকে একেবারেরই ছেড়ে দেননি তিনি। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পাশাপাশি হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বর্তমানে ব্রান্ড অ্যম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন আবু-ধাবিতে চলমান টি-টেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা দল বাংলা টাইগার্সের হয়ে। তবে পঞ্চম আসরে কোন বাঙ্গালী ক্রিকেটার না থাকায় কিছুটা আফসোস আছে তার।

চ্যানেল আইয়ের সাথে এক সাক্ষাতকারে কথা বলতে গিয়ে উঠে আসে বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুরবস্তা নিয়ে। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির বড় বাধা উইকেট। ঘরোয়া কন্ডিশনে দুর্দান্ত খেলে নিউজিল্যান্ড পাকিস্তানকে হারালেও স্পোর্টিং উইকেটে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে এসে মুখ থুবড়ে পরে টাইগাররা। যার একটাই কারণ সেটা হলো উইকেট। হোম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে হারানো দোষের কিছু নয়, তবে নিয়মিত স্পোর্টিং উইকেট না খেলায় ব্যাটসম্যান ও বোলাররা ভিন্ন কন্ডিশনে সফলতা পায় না।

অবশ্য এরজন্য আজহারউদ্দিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অবকাঠামোকেই দুষলেন। চলতি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে টাইগারদের সিরিজ হারের কারণও উইকেট জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্বক্রিকেটের নিয়মিত খোজ খবর রাখা আজহার বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে পছন্দ মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাল রিয়াদ ও সাকিবকে। পেসারদের মধ্যে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের চাইতে এগিয়ে রেখেছেন তাসকিন আহমেদকে। তার বোলিং ভেরিয়েশনে মুগ্ধ তিনি। তবে আবারো সেই পুরোনো ক্ষোভ। স্পোর্টিং উইকেটে না খেলায় নিজেদেরকেই প্রতিনিয়ন পিছিয়ে ফেলছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। যার খেসারত দিয়ে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজেও দিয়েছে টাইগারার।

বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলের খবরও অজানা নয় তার। বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলকে  আরো বেশী আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে বিসিবিকে অনুরোধ করেছেন তিনি। টার্নিং উইকেটের বদলে বাউন্সি উইকেটে তরুণদের খেলার অভ্যাস গড়ে উঠলে জাতীয় দলের জন্য বড় সম্পদ হবেন মেহরাব হোসেন ও আইচ মোল্লাদের মতো ক্রিকেটাররা। হয়তো অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়ে নতুন বাংলার ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস গড়বে এমন মন্তব্যই আজহারউদ্দিনের।

এক টেস্টের জন্য শততম টেস্ট’র মাইলফলক থেকে বঞ্চিত আজহারউদ্দিন নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন সময়ের সাথে। তবে ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রেত জড়িয়ে থাকা আজহারউদ্দিন সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখেন ক্রিকেট’কে। বিসিবি আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশের ক্রিকেটের কোচিংয়ের দায়িত্বও হাসিমুখে গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন চ্যানেল আই’কে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবীতে টি-টেন এর দল বাংলা টাইগার্স প্রথম দু’ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে গেলেও, তৃতীয় ম্যাচের আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেন ফ্র্যাঞ্চাইটির ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর আজহারউদ্দিন। মোটিভেশনাল স্পিচ দিয়ে টাইগার্স টিমে থাকা ফাফ ডু প্লেসিস, আন্দ্রে ফ্লেচার, ইসরু উদানাদের মতো তারকাদের যুগিয়েছেন অনুপ্রেরণা। তাতেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নর্দান ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে পঞ্চম আসরে প্রথম জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা দলটি। কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ আমিরের সার্ভিস টুর্নামেন্টের শুরুতে পায়নি বাংলা টাইগার্স। তবে দলের সঙ্গে বায়োবাবলে যোগ দিয়ে অনুশীলনে নেমেছেন আমির। কোয়ারেন্টাইন বাধ্যবাধকতা আজই শেষ হওয়ায় ম্যাচে ফিরতে আর বাধা নেই তার জানিয়েছেন আজহারউদ্দিন। তবে চূড়ান্ড সিদ্ধান্ত নেবেন হেড কোচ স্টুয়ার্ড ল’ নিশ্চিত করেছেন তিনি।

আজহারউদ্দিন তার ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডেটি খেলেছেন ঢাকার মাঠেই ২০০০ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে। শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেট নয় এখানকার আতিথেওতায়ও মুগ্ধ ভারতের সাবেক মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সফলতা সবসময়ই কামনা করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

Nil Joler Kabbo
Bellow Post-Green View