গরু নিয়ে দহরম মহরম অবস্থা চলছে ভারতে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ‘গো-বিজ্ঞান’ বিষয়ে পরীক্ষার আয়োজন করছে দেশটি। আর এতে অংশ নিচ্ছেন পাঁচ লাখেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। গরুর নানা উপকারিতা নিয়ে এই পরীক্ষা নিচ্ছে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়।
এনডিটিভি বলছে, ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর পক্ষ থেকে দেশটির ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে যে, তারা যেন দেশীয় গরুর প্রতিটি অংশ কতোটা উপকারী ও বিজ্ঞানসম্মত, তা নিয়ে চর্চা করে এবং এই পরীক্ষায় বসতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে।
২০১৯ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় পশু মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ চালু করে। তাদেরই তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই পরীক্ষা। কামধেনু আয়োগের ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যেই পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে।
সিলেবাসে পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা কমাতে গোবর সাহায্য করে-এমনটা উল্লেখ রয়েছে। এ নিয়ে ভারতের পাশাপাশি রাশিয়াতেও গবেষণা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে।

গত ১৫ জানুয়ারি থেকে গো-বিজ্ঞান পরীক্ষার নিবন্ধন শুরু হয়েছে। মোট ১৩টি ভাষায় পরীক্ষা অনুষ্টিত হবে। এতে অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ সনদপত্র প্রদান করা হবে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, এরই মধ্যে ৫ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী এ বিষয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। তারা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভাই কাঠিরিয়া জানান, গরুতে কোনো অবৈজ্ঞানিক ব্যাপার নেই। আমরা ভারতীয় গরুর মাহাত্ম্য প্রচার এই পরীক্ষা নিচ্ছি।
কিছু দিন আগে এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন যে, ভারতীয় গরুর পিঠের কুঁজে এমন কোনও বিশেষত্ব রয়েছে, যা সূর্যের আলো সংশ্লেষণ করে এবং দুধের মধ্যে সোনা তৈরি করে। একারণে নাকি গরুর দুধ হালকা হলদে রঙের হয়।