আগের চার ম্যাচে যা হয়েছে, শেষেও একই দৃশ্য। খুব বড় না হলেও ভারত স্কোর গড়েছিল চ্যালেঞ্জিংই। জবাবটা দিতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। পুরো সিরিজের মতো রোববারও তাদের শুরুটা ভালো, শেষে সেই গড়মিল পাকানো। মাউন্ট মঙ্গানুইতেও গত কয়েক ম্যাচের হতাশার পুনরাবৃত্তি। ভারতের ১৬৩ রানের জবাবে এদিন ১৫৬তে থেমে গেছে কিউইরা। ৭ রানের হারের সঙ্গে কোহলিদের কাছে পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ।
পরপর দুটি জেতার মতো ম্যাচ সুপার ওভারে টেনে হারার ক্ষত সঙ্গী করে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। সুযোগ বুঝে দুটোতেই জয় তুলেছিল ভারত। শেষ ম্যাচেও তাই। স্বাগতিকদের বেহালদশার সময়ে চতুর্থ ম্যাচে বিশ্রামে থাকা রোহিত শর্মা ফিরেছিলেন অধিনায়ক হয়ে। আর বিশ্রামে চলে যান নিয়মিত অধিনায়ক কোহলি। রোহিত ফিরলেও আগের ম্যাচের ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন করেনি ভারত। ব্যাটে শুরু করেন লোকেশ রাহুল ও সাঞ্জু স্যামসন।
আগের ম্যাচে ৮ রান করা স্যামসন এবারও ব্যর্থ, আউট হয়েছেন ২ করে। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে নামা রোহিতকেই তুলে নিতে হয়েছে দায়িত্ব। পায়ের পেশিতে টান পড়ে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাটে ৩টি করে চার-ছক্কায় এসেছে ৪১ বলে ৬০ রান।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান রাহুলের। রোহিতের সঙ্গে তার ৮৮ রানের জুটি ভারতের রানের ভিত্তি। ৩১ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়াস আয়ার।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের অবস্থা কাহিল। ১৭ রানে সাজঘরে দুই ওপেনারসহ টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। তখন থেকেই যেন হোয়াইটওয়াশের ক্ষণগণনা শুরু। সেই অবস্থা থেকে ৯৯ রানের জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন টিম সেইফার্ট ও রস টেলর।
৩০ বলে ৫০ করে সেইফার্ট আউট হওয়ার পর আবারও ভাঙন শুরু কিউই ব্যাটিং অর্ডারে। ভরসা হয়েছিলেন টেলর। ৪৭ বলে ৫৩ করে তিনি জাসপ্রীত বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে রাহুলকে ক্যাচ দিলে আর হোয়াইটওয়াশ এড়ানো হয়নি কিউইদের। শেষটা হয়েছে ৭ রানে হেরে।