বলিউডে এই বছরটিকে মহামারীর বছর না বলে বয়কটের বছর বললে ভুল হবে না! যেই ছবিই মুক্তি পাচ্ছে, সেটা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কটের ডাক দেয়া হচ্ছে। এই বছরে মুক্তি দেয়া হলে হয়তো বলিউডের অনেক ব্যবসা সফল সিনেমাও বয়কটের দাবীর মুখে পড়তো। তেমনই কিছু ছবি নিয়ে সাজানো হয়েছে ফিচারটি। যেগুলো চলতি বছরে মুক্তি পেলে হয়তো নানা অজুহাতে বয়কটের দাবীর মুখে পড়তো:
রং দে বাসন্তী: এবছর ‘রং দে বাসন্তী’ মুক্তি পেলে প্রথমেই আমির খানকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হতো। এরপরেই আসতো সরকার ও রাজনীতিবিদদের বিষয়টি। ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবি নিয়ে সেই সময়েই অনেকে আপত্তি তুলেছিল। এখন মুক্তি পেলে হয়তো হ্যাশট্যাগ দিয়ে বয়কটের ডাক দেয়া হতো।
নায়ক: ২০০১ সালের এই ছবিতে অমরেশ পুরির চরিত্রটি কাল্পনিক হলেও অনেকের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারো জীবন অবলম্বনে চরিত্রটি নির্মাণ করা হয়নি, তবুও অনেকের আপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ওএমজি – ওহ মাই গড: ২০১২ সালে উমেশ শুক্লার এই সিনেমা বলিউডের কমার্শিয়াল সিনেমার ধরনটাই পুরো বদলে দিয়েছিল। পরেশ রাওয়াল অভিনয় করেছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। কৃষ্ণ রূপী অক্ষয় কুমার ও মন জয় করে নিয়েছিল দর্শকদের। কিন্তু এবছর ছবিটি মুক্তি পেলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ তুলে বয়কট করার সম্ভাবনা ছিল।

বীর-জারা: ২০০৪ সালের এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ ও প্রীতি জিনতা। ছবির গল্প ও গান দর্শকের মন কেড়েছিল সেসময়ে। কিন্তু এখন মুক্তি পেলে হয়তো ‘লাভ জিহাদ’ এর অভিযোগে বয়কটের ডাক দেয়া হতো।
গদর: এক প্রেম কথা: ২০০১ সালের ছবি। অভিনয় করেছেন সানি দেওল ও আমিশা প্যাটেল। হিন্দু-মুসলিম প্রেমের গল্প। এবছর মুক্তি পেলে ‘লাভ জিহাদ’র অভিযোগ উঠত এই ছবির বিরুদ্ধেও। –ম্যানসএক্সপি