বেসিক ব্যাংকের তদন্তে দেরির কারণে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই মামলার তদন্তে দুদকের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে, আছে অদক্ষতাও। শুধু তাই নয়, আসামিদের ধরতে দুদকের পছন্দ-অপছন্দ আর ধীরগতির তদন্তের সুযোগে আসামিরা বিদেশে পালিয়ে গেছে। উপহাসের সুরে হাইকোর্ট বলেছেন, তদন্ত কবে মুক্তি পাবে এখন সেই অপেক্ষা।
বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি নিয়ে দুদক মামলা করেছে ৪৮টি। অনুসন্ধান চলছে আরও ৫৬ মামলায়। গ্রেফতার আছেন মোহাম্মদ সেলিম, সিপার আহমেদসহ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা।
২০১৫ সালে মামলা হলেও তদন্ত শেষ হয়নি এখনও। আসামিরা জামিন চেয়ে আবেদন করলে দুদক এর বিরোধিতা করলে হাইকোর্ট কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
আদালতের তিরস্কারের কথা স্বীকার করেন দুদকের আইনজীবী। বলেন সংশোধন হবার চেষ্টা করবেন তারা। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির জন্য যার বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর তাকে কেন আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না, তার জবাব দেন তিনি।
অন্যদিকে দুদকের একটি মামলায় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৭ বছরের সাজার পরিবর্তে ৪ বছরের দণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তার স্ত্রী সিগমা হুদার তিন বছরের সাজা বহাল রাখা হলেও তা খাটা হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।