চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

বেভারেজ খাতের ‘সম্পূরক শুল্ক’ কমানোর প্রস্তাব

KSRM

দেশের বেভারেজ বা পানীয় খাতে স্থানীয় পর্যায়ের বর্তমান ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাচারার্স এসোসিয়েশনের (বিবিএমএ) নেতারা।

এ খাতের উন্নয়নে এটি একটি বড় বাধা উল্লেখ করে নেতারা সোমবার বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব করেন।

Bkash July

সভায় সংগঠনটির মহাসচিব শেখ শামীম উদ্দিন বলেন, এক সময় পানীয় ও কোমল পানীয় আমদানি করতে হতো। কিন্তু এখন দেশের কোমল পানীয়ের চাহিদার ৯০ শতাংশ স্থানীয় ভাবে উৎপাদন হয়। এ সেক্টর দেশে বছরে প্রায় ৩ হাজার ৩২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকার বিপণন বাণিজ্য হয়ে থাকে। ২০১৫-১৬ অর্থবছর এ খাতে উৎপাদন পর্যায়ের সম্পূরক শুল্ক ও মূসক ৭৮০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়েছে। এক সময় বেভারেজ বহুজাতিক কোম্পানির আওতায় থাকলেও বর্তমানে এ খাতে দেশীয় অনেক কোম্পানি বিনিয়োগ করছে।

২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল এ খাতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে উল্রেখ করে তিনি বলেন, সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে তার সুফল এনবিআর পাচ্ছে না। বরং গত ৩ বছরে এ খাত প্রবৃদ্ধি লাভ করেনি। এ খাতে অনেক দামি মূল্যের মেশিনারি আমদানি ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন হয়। উৎপাদন ব্যয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁচামাল, গ্যাস, বিদ্যুতের দামও বাড়ছে। অধিকাংশ ভোক্তা মনে করে কোমল পানীয়ের মূল্য সাধারণ খাদ্য সামগ্রীর তুলনায় বেশি। সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হলে এ খাতে স্থানীয় অনেক কোম্পানি এগিয়ে আসবে। রাজস্ব বাড়বে, রপ্তানি খাতে এগিয়ে যাবে, দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে।

টার্নওভার ট্যাক্স সম্পর্কে শেখ শামীম উদ্দিন বলেন, এ খাতে ০.৬ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স রয়েছে। নতুন কোন কোম্পানি এ খাতে লাভের মুখ দেখে না। টার্নওভার ট্যাক্সের ফলে নতুন কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাপস মন্ডল বলেন, বিশ্বের মধ্যে মাথাপিছু মেক্সিতে ৬০২.৩৬, যুক্তরাষ্টে ৫৫৩.৬৯, জার্মানীতে ৪৪৭.৭০ শতাংশ পানীয় ভোগ করে। এছাড়া ভারতে ১৮.৭১, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৫৮, ইন্দোনেশিয়ায় ১৫.৫২, মিয়ানমারে ১৬.৭৮, ভিয়েতনামে ৪০.১৩ ও বাংলাদেশে মাত্র ১১.৯৮। ভোগের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সর্বনিম্ন। বিশ্বের অন্য দেশে করহার কম হওয়ার কারণে ভোক্তা বেশি। বাংলাদেশে ভোক্তা ১২ থেকে ১৪ শতাংশে নিয়ে গেলে রাজস্ব আহরণ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, বেভারেজ সেক্টরে স্থানীয় ১৫ শতাংশ মূসক, অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত আছে। ফলে স্থানীয় পর্যায়ের করের হার ৪৩.৭৫ শতাংশ, যা অনেক বেশি। প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে ভারতে ৩৫.৩ শতাংশ, শ্রীলংকায় ২৯.২ শতাংশ, নেপালে ২৪.২ শতাংশ, ভুটানে ৩০ শতাংশ করহার বিদ্যমান। এর ফলে আমদানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এ খাতে প্রায় ৩ লাখ লোক কর্মরত। আগামী ৪ বছরে এ খাতে ৯টি কোম্পানির প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের কথা রয়েছে। এ খাতকে এগিয়ে নিতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, পারভেজ ইকবাল, মো. লুৎফর রহমানসহ বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাচারার্স এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সিরামিক ওয়্যারস ম্যানুফ্যাচারার্স এসোসিয়েশনের নেতারা।

I Screen Ami k Tumi
Labaid
Bellow Post-Green View