এএফসি গ্রুপ পর্বের আগের তিন ম্যাচের সবগুলোতে হারা আবাহনী ২-০ গোলে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়েছে। শেষ দশ মিনিট দশজন নিয়ে খেলেও জয় পেল দলটি।
এই ম্যাচের আগে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে ছিল বেঙ্গালুরু। টানা তিন হারে তলানিতে ছিল আবাহনী। প্রথম লেগে ভারতের দলটির কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল মামিচের শিষ্যরা।
বুধবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে আধিপত্য ধরে রেখেই খেলেছে স্বাগতিকরা। বারবার বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকতে দেখা যায় ইমন বাবু, এমেকাদের। তবে গোল আসেনি। অতিথি ডিফেন্ডারদের কাছে বারবার খেই হারিয়েছেন আবাহনীর ফরোয়ার্ডরা। গোলশুন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় দুই দলই। ৫২ মিনিটে স্বাগতিকদের একটি ফ্রি-কিকে এমেকা মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হলে গোলবঞ্চিত হয় আবাহনী।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে বিপদের হাত থেকে বেঁচে যায় আবাহনী। অতিথিদের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল ঘোষণা করেন রেফারি। এর ২ মিনিট পরেই বেঙ্গালুরুর অ্যালিউইন জর্জ ডিবক্সে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও বারের উপর দিয়ে মারেন।
খেলা শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে ধাক্কা খায় আবাহনী। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ফাউল করে লালকার্ড দেখেন ডিফেন্ডার নাসির।
দশজনের দল নিয়েও জ্বলে উঠে দ্রাগো মামিচের শিষ্যরা।
ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দের সাগরে ভাসান বদলী ফরোয়ার্ড সাদউদ্দীন সাদ। বাঁ-প্রান্ত থেকে দারুণ এক শটে বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক অমৃন্দরকে বোকা বানিয়ে দলকে এগিয়ে দেন।
গোল খেয়ে এতটাই মরিয়া হয়ে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু যে গোলরক্ষক অমৃন্দর পর্যন্ত মাঝ মাঠে উঠে এসেছিলেন। এই সুযোগে যোগ করা সময়ে মাঝ মাঠের একটু সামনে থেকে চোখজুড়ানো শটে প্রতিপক্ষকে বোকা বানিয়ে গোলসংখ্যা ২-০ করে ফেলেন ডিফেন্ডার রুবেল মিয়া। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধান নিয়েই মাঠ ছাড়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।