মেগান মার্কেল দাবি করেছেন, গত বছর তিনি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ট্রলের শিকার হওয়া ব্যক্তি ছিলেন। শনিবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে এক পডকাস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
মেগান মার্কেল ও প্রিন্স হ্যারি জানিয়েছেন, তারা অনলাইনে যেই পরিমাণে হেনস্তার শিকার হয়েছেন, তা সহ্য করে বেঁচে থাকাই কঠিন। পডকাস্টে মেগান বলেন, ‘প্রায় আট মাস লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলাম। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলাম, সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। কিন্তু তবুও এসব বন্ধ হয়নি। সহ্য করে টিকে থাকা কঠিন, সমস্যাটা এতটাই বড় যে বোঝানোও সম্ভাবনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বয়স ১৫ হোক কিংবা ২৫, মানুষ যদি আপনার নামে মিথ্যা খবর ছড়ায়, তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।’
‘আমাদের আবেগের যায়গায় আঘাত হানা হলে কেমন অনুভূতি হয় তা সবাই জানি। কাউকে একঘরে করে দিলে কেমন লাগতে পারে সেটাও সবাই জানি,’ পডকাস্টে বলেন মেগান।

হ্যারি বলেন, ‘নেতিবাচক বিষয় গ্রহণ করা খুব সহজ। কিন্তু যে কেউই চাইলে এই বিষয়টি বাদ দিতে পারেন জীবন থেকে। ঘৃণা ছড়ানোটা এখন মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, যেটা না করলেও চলে।’
হ্যারি জানান, তিনি ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক খবর পড়েন না। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করতে পছন্দ করেন এবং আশাবাদী থাকতে চান সব বিষয়ে। -টাইমস অব ইন্ডিয়া