গেল শুক্রবার দেশের ২৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এ বছরের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’। মুক্তির পর থেকেই ছবিটি নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথা বলছেন ছবি সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীর যেসব প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে, সেই হল সংশ্লিষ্ঠরাও জানাচ্ছেন তাদের সন্তুষ্টির কথা।
বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় (১৬ ডিসেম্বর) তারকা ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ‘বিশ্বসুন্দরী’র বিশেষ শোয়ের আয়োজন করে প্রযোজনা সংস্থা। ছবিটি দেখতে এদিন স্টার সিনেপ্লেক্সের মহাখালীর এসকেএস টাউয়ারে উপস্থিত হন ছোট ও বড় পর্দার তারকা অভিনেতা, নির্মাতাসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
যেখানে উপস্থিত ছিলেন ছবির নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী থেকে শুরু করে ছবির কাহিনিকার রুম্মান রশীদ খান, ছবির দুই প্রধান চরিত্র সিয়াম আহমেদ ও পরীমনিসহ অনেকে।


ছবি শুরুর আগে অল্প কথায় নিজের প্রথম নির্মাণের অভিজ্ঞতার কথা জানান চয়নিকা চৌধুরী। কৃতজ্ঞতা জানান ছবির নির্বাহী প্রযোজক অজয় কুণ্ডুকে। তিনি বলেন, করোনার এই দুর্যোগকালে যখন দেশের প্রেক্ষাগৃহে নতুন কোনো সিনেমা নেই, তখন সাহস করে ‘বিশ্বসুন্দরী’ মুক্তির উদ্যোগ নেয়া বড় ঘটনা।
এদিকে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ছবিটি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিয়াম, পরীমনিসহ ছবি সংশ্লিষ্ট অনেককে। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছবিটি দেখতে এদিন সিনেপ্লেক্সের এই শাখাতে আসতে দেখা যায় অরুণ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন লাভলু, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, অনিমেষ আইচ, মোস্তফা কামাল রাজ, রুনা খান, তানভীন সুইটি, দীপা খন্দকার, শাহেদ আলী, আশনা হাবীব ভাবনা, শবনম ফারিয়া, সাবাহ সারিকা এবং দীঘি।

বিশেষ শো’টি দেখার পর বিশ্বসুন্দরী দেখতে সিনেমাপ্রেমীদের আহ্বানও জানাতে দেখা গেছে আগত অতিথিদের। এরমধ্যে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল ছবিটি দেখে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিশ্বসুন্দরী’ দেখে এলাম । আমার খুব পছন্দের মানুষ রুম্মান রশিদ খানের কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং প্রিয় চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় প্রেমের মোড়কে দেশাত্মবোধের এক দৃষ্টিনন্দ-বক্তব্যধর্মী চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’। চিত্রগ্রাহক খায়ের খন্দকার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, আনন্দ খালেদ অনেক স্নেহের একজন অভিনেতা, এতোগুলো পছন্দের মানুষের ছবি দেখার অনুভুতিই আলাদা! আমি সম্ভবত সেই বিরল সৌভাগ্যবান চলচ্চিত্র দর্শক যে খুঁত ধরতে ছবি দেখতে যাইনা, উপভোগ করতে যাই। আমিতো কোন মাস্টার মশাই না, যে এইটা হয়নি, সেইটা হয়নি বলার জন্য ছবি দেখতে যাব! সুতরাং সুন্দর একটা সময় অনেকগুলো প্রিয় মানুষের সাথে কাটিয়ে এসে আমি আনন্দিত।
বিশেষ প্রদর্শনীর পর নির্মাতা অনিমেষ আইচ নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, দেখে এলাম বিশ্বসুন্দরী। ভালো গল্পের গ্ল্যামারাস প্রেজেন্টেশন। সব কিছু মিলে ছবিটা পুরা দেখে উঠতে হবে, চোখের আর কানের শান্তি আছে। কমার্শিয়াল সিনেমা এমনই হওয়া উচিত। অভিনন্দন চয়নিকা চৌধুরী এবং তার দলের সকলকে।

বিশ্বসুন্দরীর একটি সংলাপ কোট করে এই ছবির কলাকুশলীদের সাথে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ লিখেছেন, ‘তোমার কাছে প্রেম মানে কী? বিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার সময় একটুখানি ফিরে তাকানো!’হ্যাশট্যাগে লিখেছেন ‘বিশ্বসুন্দরী’।
ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনিরা মিঠু। বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন তিনিও। ছবিটি দেখার পর তিনি লিখেছেন, আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদের দেশে একজন সিয়াম আহমেদ আছেন, একজন পরীমনি আছেন…ধন্যবাদ দিদি চয়নিকা চৌধুরী, রুম্মান রশীদ ও অজয় কুমার কুণ্ডু।
রুনা খান বলেন, বিশ্বসুন্দরী দেখলাম…। প্রেমের গল্পের মোড়কে খুবই আবেগের একটি গল্প লুকানো ছিলো। উপভোগ করেছি। অভিনন্দন চয়নিকা দিদি, তোমাকে এবং তোমার টিমের সবাইকে।
সময়ের জনপ্রিয় মুখ সাবাহ সারিকা লিখেছেন, ধন্যবাদ চয়নিকা দিদি ও রুম্মান ভাই, পরিবার নিয়ে দেখার মতো বাংলা সিনেমা উপহার দেয়ার জন্য! সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে। অনেক অনেক শুভকামনা বিশ্বসুন্দরীর সবাইকে। সবাই হলে যেয়ে দেখে আসেন।