চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিশেষ অভিযানেও থামেনি জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসায়ীদের তৎপরতা

বিশেষ অভিযান শুরুর পরেও থামেনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসায়ীদের তৎপরতা। পুলিশের টহলের মধ্যেই চলছে অবাধে মাদকের কেনা বেচা। জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ এক নারীসহ ১৮ জনের হাতে বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে অর্ধলক্ষেরও বেশি অবাঙ্গালির বসবাস। নগরীর অন্যতম মাদক স্পট এটি। মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান শুরুর পর বড় ব্যবসায়ীরা আড়ালে চলে গেলেও এখানে মাদক কেনা-বেচা চলছে আগের মতোই। মাদকের সরবরাহও চলছে দেদারসে। কেবল ক্রেতাদের ধরন পাল্টেছে। ক্রেতা নিজে আড়ালে থেকে রিকসা চালক বা অন্য কারো মাধ্যমে সংগ্রহ করছে ইয়াবা ফেন্সিডিল গাঁজা বা অন্য কোন মাদক। তবে এসব কথা স্বীকার করেন না ক্যাম্পের বাসিন্দারা।

মাদক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে মাদকের পৃষ্ঠপোষকতায় জড়িয়ে পড়ছেন জনপ্রতিনিধি এমনকি প্রশাসনের কর্মকর্তারা, এমন অভিযোগও রয়েছে। এরই মধ্যে জেনেভা ক্যাম্পের প্রেসিডেন্ট জিলানীকে আটক করে থানা হাজতে রেখে তার বাসায় তল্লাসী করে মাদক উদ্ধার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

পুত্র রব্বানীসহ জিলানী বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় কারাগারে গেলে তৎপর হয় তার প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ী সাঈদসহ অন্যরা। এমনকি সিআইডি’র হাতে সাইদ আটক হলেও বিশেষ মহলের চাপে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

মাদক নিয়ন্ত্রকের ভুমিকায় আছে পাপিয়া তার স্বামী পাচু, আদনান, নাদিম, ইশতিয়াক, কশাই শাহ আলম ও আরমানসহ ১৮ জন। তাদের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হলে তদন্তে নামে গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাব মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও মাদকের দু’একজন ফেরিওয়ালা ছাড়া ধরা পড়েনি বড় কোন ব্যবসায়ী।

এছড়া জেনেভা ক্যাম্পের আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে হুমায়ুন কবীর ওরফে ইয়াবা কবীর। অভিযোগ রয়েছে একটি রাজনৈতিক দলের ছত্র-ছায়ায় থাকার কারণে বার বার আটক হলেও ইয়াবা কবীরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

আরও দেখুন এনামুল কবীর রূপমের ভিডিও রিপোর্টে: