‘বিপিএল লস প্রজেক্ট’ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের চেয়ারম্যান নাফিসা কামালের এই মন্তব্য ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে দেশের সংবাদমাধ্যমে। সেই কথার জের ধরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বললেন, ‘লস যদি হয় তাহলে ৮০ লাখ টাকার খেলেয়াড়কে কেউ ৪ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিত না।’
বিপিএলে বড় মাপের খেলোয়াড় দলে নিতে অর্থের ঝনঝনানি দেখায় ফ্র্যাঞ্চাইজি। চড়া মূল্যে পছন্দের খেলোয়াড়কে কিনে নেয় মালিকপক্ষ। তবে আসর শেষে তাদের কণ্ঠেই শোনা যায় অনুযোগের সুর- ‘লাভের দেখা নেই’।
ক্রমাগত লস হওয়ায় বিসিবির কাছে পুরো আয়োজনের লাভের অংশের দাবি জানিয়েছে বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিসিবি অবশ্য তা আমলে নিচ্ছে না। বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন রেভিনিউ শেয়ারিং সম্ভব নয়।
ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের নানা দাবির মুখে বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিপিএলে কাউকে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হবে না। বিসিবি নিজেরাই চালাবে ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এবারের আসর।
কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই কোনো দল দেয়া হবে না। দলের মালিকও হবে বিসিবি। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক, আবাসন থেকে শুরু করে সব খরচই বহন করবে বোর্ড। আয়োজন হবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে সামনে রেখে এবারের বিপিএলের নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল।’ তবে কেউ যদি পুরো আসর ও দলগুলোর পৃষ্ঠপোষক হতে চায় তাহলে আপত্তি করবে না বিসিবি।
বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি নাজমুল হাসান এসব তথ্য জানান সংবাদমাধ্যমকে। তিনি বলেন, ‘বিপিএল অন্ধকারে যাবে কেন? আমরা চালাব। বিসিবি চালাতে পারবে না? শুনেন লস যদি হয় তাহলে ৮০ লাখ টাকার খেলোয়াড়কে ৪ কোটি টাকা দিয়ে কেউ নিত না। এগুলো করছে বেআইনিভাবে,,,,কতো দাম দিয়ে নিচ্ছে তা আপনারা জানেনও না। খোঁজ নিয়ে দেইখেন। লস হলে তো কেউ এতো টাকা দেয় না। নিশ্চিত অনেক লাভ করে, আরও লাভ করতে চায়।’
‘একটা জিনিস মনে রাখবেন, আমরা কি চাই। আমরা চাই যারা বিপিএলে আসবে তারা বিপিএলে খেলার উন্নয়ন, খেলোয়াড়ের উন্নয়নের জন্য আসবে। ব্যবসা করার জন্য নয়। এখানে সেই সুযোগ নেই।’-বলেন নাজমুল হাসান।
নতুন কাঠামোয় আগের আসরে অংশ নেয়া সাতটি দলই অংশ নেবে। দলগুলোর নাম কি হবে সেটা স্পন্সরের ওপর নির্ভর করবে। তবে ঢাকা ,চট্টগ্রাম, খুলনা এভাবে অঞ্চলভিত্তিকই থাকবে।