প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আন্জুম সুলতানা সীমা সকালে নিজের ভোট দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও, কিছু কিছু জায়গায় অনিয়মের অভিযোগ বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর।
মডার্ন স্কুলে ভোট দিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আন্জুম সুলতানা সীমা আর হোচ্ছা মিয়া স্কুলে ভোট দিলেন বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর । এ সময় তারা নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন।
সকালে শুরু হওয়া এ নির্বাচনে ১০৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন।তবে কয়েকটি জায়গায় কিছু অনিয়মের ঘটনাও ঘটেছে।
সিটি কলেজ কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে এবং কমার্স কলেজ কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।এছাড়াও কিছু জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।

নির্বাচন বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ কুমিল্লা নির্বাচনে ইসি আওয়ামী লীগের বর্ধিত অংশ হিসেবে কাজ করছে।তবে তাদের প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবে না বলে জানিয়েছে বিএনপি।
তবে নির্বাচনের যেকোন ধরনের অনিয়মের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে ইসি। নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই রোধে প্রয়োজনে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগ-বিএনপি কারো পক্ষ নয়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কমিশনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লায় নির্বাচন নিয়ে যেকোন ধরণের বিতর্ক এড়াতে ১শ’ ৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২২টি ভোট কেন্দ্র মন্ত্রী-এমপি প্রভাবিত বলে সেইসব কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে অন্য জেলার পুলিশ। বহিরাগত ঠেকাতে কুমিল্লা শহরের ১৪টি পয়েন্টে বসেছে পুলিশ চেকপোস্ট।
সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য স্থানীয় পুলিশের বদলে বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ এনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে গতকাল মধ্যরাতে শেষ হয়ে যায় সব ধরণের নির্বাচনী প্রচারণার কাজ।
তবে প্রচারের শেষ দিনে নৌকার প্রার্থী জোর গলায় বললেন, ক্ষমতার দাপটে নয় জনগণের রায়ে কুমিল্লায় বিজয়ী হবে নৌকা।নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উভয় প্রার্থী।