চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিএনপিকে ছাড়াই নির্বাচনকালীন সরকার চান এরশাদ

বিএনপিকে ছাড়াই চলতি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি। এছাড়া নির্বাচনে সেনা মোতায়েনসহ আরও ৮টি প্রস্তাবও আসে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে।

সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এরশাদ বলেন: আমরা বলেছি সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দল নিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা। যেহেতু বিএনপি বর্তমান সংসদে নেই, তাই দুঃখজনক হলেও তারা (বিএনপি) নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকতে পারবে না। তবে বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সিইসি কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নেন জাতীয় পার্টির ২৫ জন প্রতিনিধি।

সেনা মোতায়েনের পক্ষে নিজের যুক্তি তুলে ধরে এরশাদ বলেন: পাবলিক পারসেপশন হলো, যদি সেনাবাহিনী মোতায়েন হয় তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। যেহেতু জনগণ চাচ্ছে সেহেতু সেনাবাহিনী মোতায়েন হোক। তবে এটা কমিশনের এখতিয়ারে নয়, সরকার করতে পারবে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত বলেন: কমিশনারদের সঙ্গে অত্যন্ত সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহনযোগ্য ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমি আশা করি। কমিশনারদের কথা আমার বিশ্বাস হয়েছে, ওনারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ; যাতে এ নির্বাচন সকলের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়।

আজকের বৈঠকের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত ২৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করল নির্বাচন কমিশন। গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর ২৪ আগস্ট থেকে দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

ইতোমধ্যেই সবগুলো দলের সঙ্গে সংলাপের সূচি প্রকাশ করেছে ইসি। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৮ অক্টোবর এবং বিএনপির সঙ্গে ১৫ অক্টোবর সংলাপ করবে ইসি।

এছাড়া অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে বিকল্পধারা বাংলাদেশ; বিকেলে ইসলামী ঐক্যজোট, ১১ তারিখ সকালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি; বিকেলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, ১২ তারিখ সকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বিকেলে গণতন্ত্রী পার্টি,  ১৬ তারিখ সকালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বিকেলে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), ১৯ অক্টোবর সকালে জাতীয় পার্টি-জেপি; বিকালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি।

এরপর ২২ অক্টোবর পর্যবেক্ষক, ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রী এবং ২৪ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মত বিনিময় করবে ইসি।