সেই কবে থেকে রিয়াল মাদ্রিদে চেনা ছন্দে নেই গ্যারেথ বেল। চোট, সংকট আর ক্লাবের সঙ্গে বাজে সম্পর্কে অনেকটাই ব্রাত্য ওয়েলসের তারকা এখন দলের বোঝা। বলতে গেলে প্রায় একই দশা বার্সেলোনার ফরাসি স্ট্রাইকার আন্তেনিও গ্রিজম্যানের। নিজের ধারাবাহিক খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে প্রশ্ন উঠেছে, বেলের দশায় পড়তে যাচ্ছেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকার?
হতশ্রী পারফরম্যান্সে প্রশ্ন ওঠাটাকেই যেন স্বাভাবিক বানিয়ে ফেলেছেন ফ্রেঞ্চম্যান নিজেই। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩২ ম্যাচে আটবার প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পেয়েছেন তিনি। লা লিগায় পেয়েছেন মাত্র তিনটি গোল। শেষবার তার পা জাল খুঁজে পেয়েছিল চলতি বছরের শুরুর দিকে, ২ জানুয়ারি রায়ো মাজাডাহোন্ডার বিপক্ষে।
এ যেন রিয়াল মাদ্রিদের বেলেরই প্রতিচ্ছবি। প্রায় দুই বছর আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে খেলেছিলেন তিনি। এরপর ক’দিন আগে গেতাফের বিপক্ষে মাঠে নামার সুযোগ পান ওয়েলস উইঙ্গার। লা লিগার চলতি মৌসুমে স্রেফ পাঁচটি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ হয় তার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও কোপা দেল রে মিলিয়ে মোট সাত ম্যাচে মৌসুমে পেয়েছেন মাত্র একটিই গোল, নেই কোনো এসিস্টও!
টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে ২০১৩ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়ালে যোগ দেন বেল। তবে ক্লাব ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি নিয়ে চর্চা থামছেই না। ২০২০ সালে জিনেদিন জিদান কোচ থাকার সময় ক্লাব ছাড়ার কাছাকাছিও চলে গিয়েছিলেন তিনি। এবার তো ক্লাব সমর্থকদের কাছ থেকেও পাচ্ছেন দুয়ো। তার চেয়েও বড় বিষয়, আসছে জুনেই ফুরিয়ে যাচ্ছে ব্লাঙ্কোসদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ।

সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়ো না পেলেও নিজের পারফর্মে খুশি করতে পারেনি আরেক স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবের অন্যতম স্ট্রাইকার গ্রিজম্যান। চোটের পাশাপাশি চরম আকারে দাঁড়িয়েছে তার গোলখরা। এরমাঝে আসছে জুলাইয়ে ধারে খেলা রোজি ব্লাঙ্কোসদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে ফ্রেঞ্চম্যানের।
২০১৪ সালে রিয়েল সোসিয়েদ থেকে প্রথমে লোনে অ্যাটলেটিকোর হয়ে খেলেন গ্রিজম্যান। পরে স্প্যানিশ ক্লাবটির সঙ্গে ১৩০ মিলিয়ন ইউরোতে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০১৯ সালে বার্সেলোনা তাকে ধারে খেলতে নিয়ে যান এবং ২০২৪ সাল পর্যন্ত সঙ্গে চুক্তি করেন। কিন্তু কাতালান জায়ান্টদের হয়ে ভুগছিলেন গ্রিজম্যান। চলতি মৌসুমে তাই সাবেক ক্লাব অ্যাটলেটিকোতে ধারে খেলতে পাঠায় বার্সা। এবার দুই স্প্যানিশ ক্লাব নতুন কোনো সমাঝোতায় না আসলে আবারও ন্যু ক্যাম্পে ফিরতে হবে গ্রিজম্যানকে।
তবে বেলের ক্ষেত্রে সেটা অনেকটা অসম্ভবই বটে! কেননা ওয়েলস স্ট্রাইকারের পারফরম্যান্সে বয়সের ছাপ পড়েছে। নতুন কোনো ক্লাবও তাকে নিতে এখনও আগ্রহ দেখায়নি, চুক্তি বাড়ানোর প্রশ্নে এখনও চুপ রিয়াল মাদ্রিদও। এখন দেখার বিষয় বেল না গ্রিজম্যান? কে কাকে ছাড়িয়ে যায়!