দেশের প্রতিষ্ঠিত ও তুমুল জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীন। টানা দুই দশক ধরেই তারুণ্যের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে দলটি। ঘোর লাগা মিউজিক ও অসাধারণ লিরিকে অনন্য এই দলটি মাঝখানে কিছুটা ছন্দপতনের ভেতর দিয়ে গেলেও ‘জাদুকর’ হয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। এরপর ফের বহিমিয়ান। আর এবার তাদের ভেসে উঠা বারুদ সমুদ্রে!
সেই পুরনো চেহারায়। জাদুকর, বহিমিয়ান এবং সর্বশেষ বারুদ সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে অগণিত ভক্ত, অনুরাগী আর শুভাকাঙ্ক্ষী। মুগ্ধ সকলেই। ভিউ হিসেবে করলেও তুলনাহীন শিরোনামহীন। প্রায় দশ লাখবার দেখা হয়েছে জাদুকর। আর ছয় লাখ বার ‘বহিমিয়ান’। এগুলো শুধু শিরোনামহীনের অফিশিয়াল পেইজের হিসাব। এছাড়াও বিভিন্ন বেনামি ইউটিউব চ্যানেলেও চোখে পড়বে শিরোনামহীনের নতুন গানগুলো। সেখানেও লাখ লাখ ভিউ দেখা যায়। ক’দিন আগেও যারা শিরোনামহীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাদের জন্য হয়তো এগুলো একটা শক্ত জবাব। তাই কি?
১০ মার্চ শনিবার শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে রিলিজ দেয়ার কথা ছিলো ‘বারুদ সমুদ্র’। কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত তারিখের একদিন আগেই ইউটিউবে। এতে কিছুটা বিব্রত শিরোনামহীন। কেনো একদিন আগেই গানটি ইউটিউবে চলে এলো?-এমন প্রশ্নে জিয়া বলেন, ১০ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে গানটি রিলিজ করার কথা ছিলো। সে হিসেবেই আমরা প্রমোশনও করেছি। সবই ঠিক ছিলো। কিন্তু ইউটিউব চ্যানেলে যিনি অপারেট করেন আমাদের, তার সাথে কিছুটা মিসকমিউনিকেশন হয়েছে। যিনি ইউটিউবে আপলোড করেন, তিনি ভেবেছেন আমরা ৮ তারিখে গানটি রিলিজ দিবো। ভুল বোঝাবুঝির কারণেই দুই দিন আগেই গানটি ইউটিউবে রিলিজ হয়।
গানের পাশাপাশি চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে জিয়া কথা বললেন নতুনভাবে শিরোনামীহন পরিচালনা নিয়েও। বললেন, ব্যান্ড মানেই আত্মা ঢেলে কাজ করা। এখানে প্রতিটি সদস্যকে তা ওউন করতে হয়। ওয়ান ম্যান শো দিয়ে ব্যান্ড হয় না। ওয়ান ম্যান শো’র দিকে যেনো না যায়, সেদিকে এবার আমাদের লক্ষ্য থাকবে। ভোকাল সর্বস্ব হলে ব্যান্ড কালচারটাই আর থাকবে না। বরং সলোতে ওয়ান ম্যান শো হয়। সেখানে ভোকালের সাথে যারা মিউজিশিয়ান তারা পেইড। তাদেরকে ওউন করতে হয় না। এখানেই ব্যান্ডের সাথে সলোর পার্থক্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের সাধারণ শ্রোতারাও ভোকালকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। অথচ ব্যান্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছেন ক্রিয়েটর।
শিরোনামহীনের বারুদ সমুদ্র: