Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

বাংলায় ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান পরিভাষা’ করার উদ্যোগ ছিলো বাংলা একাডেমির

ভাষা
Advertisements

ভাষাসংগ্রামীরা মনে করেন, মাতৃভাষা বাংলাকে জীবিকার ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে নিজ ভাষায় উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির আগেই সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর অঙ্গীকার করেছিলেন। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান পরিভাষা’ করার উদ্যোগ নেয় বাংলা একাডেমি। নেতৃত্বে ছিলেন ভাষা সংগ্রামীরা।

একাত্তরের ১৫ই ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা একাডেমির অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তার দল ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকেই সরকারি অফিস-আদালতসহ জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে বাংলা চালু করা হবে। ওই বছরই একুশের অনুষ্ঠানে সবক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তৃতা করেন তিনি।

ভাষাসংগ্রামীরা মনে করেন, মাতৃভাষা বাংলা শুধু রাষ্ট্রভাষা নয় জাতীয় ভাষা এবং জীবিকার ভাষাও হতে হবে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাকে সমর্থন যোগান সে সময়ের শিক্ষাসচিব ভাষাসংগ্রামী মুজিবুল হক, সরদার ফজলুল করিম, কবীর চৌধুরীসহ ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা আলী।

১৯৭৩-৭৪ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বই বাংলা করার উদ্যোগ নেয় বাংলা একাডেমি। ওই কাজে সম্পৃক্ত হন ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক, ডাক্তার সাঈদ হায়দার এবং অন্যরা।

১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ডাক্তার সাঈদ হায়দার। প্রথম শহীদ মিনারের নকশা তৈরিতেও ভূমিকা ছিলো তার। তিনি বলেন, ‘কানিং হামের’-এনাটমি এবং ডেভিডসন্সের মেডিসিন বইটির পরিভাষা করায় তাদের উদ্যোগ সর্বস্তরের বাংলা ভাষা চালুতে ইতিহাস হতে পারতো।

ব্যক্তি উদ্যোগে মেডিকেল শিক্ষায় বিশেষত ঔষধ শাস্ত্রের বিভিন্ন ইংরেজি শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ করা শুরু করেছিলেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক। প্রায় ১৭শ বাংলা পরিভাষা করেন তিনি। সেগুলো সেসময়ের গণস্বাস্থ্য পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হয়েছিলো।

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে:

Exit mobile version