চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

বরিস-মোদি বৈঠকে যেসব বিষয় আলোচিত হতে পারে

KSRM

শুক্রবার আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই নেতা পারস্পারিক প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন।

বিবিসি জানায়, আশা করা হচ্ছে নয়াদিল্লিতে তাদের এই বৈঠকে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কেও কথা বলবেন।

Bkash July

এর আগে জনসন ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যেও রাশিয়ার সাথে ভারতের সম্পর্কের বিষয়টি উত্থাপন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ভারত তার নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানায় বিবিসি।

Reneta June

বৃহস্পতিবার জনসন স্বীকার করেছেন যে রাশিয়ার সাথে ভারতের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। সংঘাতে যুক্তরাজ্যের মতো একই অবস্থানে নেই ভারত।

তবে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন এখনও বিশাল পরিসরে আমরা একসাথে কাজ করতে পারি।

ভারতের রাজধানীতে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকটি জনসনের দুই দিনের ভারত সফরের শেষ দিনে রাখা হয়েছে। যা কোভিডের কারণে অনেকটা বিলম্বিত হয়েছে।

শুক্রবার তাদের বৈঠকের আগে জনসন ঘোষণা করেন যুক্তরাজ্য ভারতে সামরিক হার্ডওয়্যার রপ্তানির জন্য লাইসেন্সিং নিয়মগুলিকে জারি করার পরিকল্পনা করেছেন।

ভারত মহাসাগর সহ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করবে দুই দেশ।

“সবুজ” হাইড্রোজেন শক্তির খরচ কমানোর জন্য গবেষণা বাড়ানোর বিষয়ে দুই দেশের প্রতিশ্রুতি ছিল। যুক্তরাজ্যের পুনঃনবায়নযোগ্য জ্বালানী শক্তি পরিকল্পনার অংশ।

দুই নেতা যুক্তরাজ্য-ভারত বাণিজ্য আলোচনার সাম্প্রতিক বিষয়েও আলোচনা করবেন। সেখানে জনসন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে নেতাদের মধ্যে কথোপকথন আরও কঠিন বলে প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলির সাথে, যুক্তরাজ্য ভারতকে মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে রাজি করার চেষ্টা করছে। এই মাসের শুরুর দিকে ভারত ইউক্রেনের বুচা শহরে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে। রাশিয়ার আক্রমণের পর এর মাধ্যমে সবচেয়ে শক্তিশালী বিবৃতি দিয়েছে দেশটি।

মোদীর সাথে তার বৈঠকের আগে জনসন বলেছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারতের সাথে সহযোগিতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও জানান বিশ্বে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রগুলি ক্রমবর্ধমান হারে গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে, অবাধ ও ন্যায্য বাণিজ্য বন্ধ করতে এবং সার্বভৌমত্বকে পদদলিত করতে হুমকির মুখে ফেলেছে।

ভারতের সাথে যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্ব এই ঝড়ো সমুদ্রে একটি আলোকবর্তিকা বলে মন্তব্য করেন বরিস জনসন।

I Screen Ami k Tumi
Labaid
Bellow Post-Green View