বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের পর দুই বছর ধরে বকেয়া থাকা পাওনা বুঝে পেলেন শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট একাডেমির ৬ খেলোয়াড়।
মঙ্গলবার খাদিজাতুল কুবরা, শায়লা শারমিনদের ডেকে পুরো টাকাই তুলে দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। শেখ রাসেল একাডেমির সদ্য নিয়োগ পাওয়া ম্যানজার রাশেদা রহমান রুবি চ্যানেল আই অনলাইনকে খবরটি জানিয়েছেন।

পাওনা আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা ক্রিকেটার শায়লা শারমিন চ্যানেল আই অনলাইনকে বললেন, ‘প্রাপ্য টাকার পুরোটা পাব কিনা সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। পুরোটা পেয়ে ভালো লাগছে। ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই আরেকটি লিগের আগে তারা পদক্ষেপ নিয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
দুই মৌসুম পর মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়াবে বুধবার। ১২ দলের আসরের ভেন্যু বিকেএসপি। লিগ শুরুর আগেরদিন পাওনা মিটিয়ে দেয়ার পেছনে বিসিবি থেকে চাপও ছিল ক্লাবের উপর।
বোর্ড চিঠি দিয়ে দ্রুত টাকা পরিশোধের অনুরোধ জানায়, চিঠিতে বলা হয় সমস্যার সমাধান না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারপরই টাকা পরিশোধে উদ্যোগী হয় ক্লাবটি।
৬ ক্রিকেটারের ৬ লাখের মতো টাকা বকেয়া রেখেছিল সবশেষ আসরে তৃতীয় হওয়া ক্লাবটি। তার আগে বিসিবিতে চিঠি দেয়ার পর শুধুমাত্র রুমানা আহমেদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে শেখ রাসেল। বাকিদের পাওনা তারা মেটাল লিগ শুরুর আগের সন্ধ্যায়।
দলের সবার পাওনা আদায় করতে গিয়ে বিপাকেই পড়েন রুমানা। টাকা চাওয়ায় ক্লাবটির তখনকার ম্যানেজারের জাকির হোসেনের কটু কথাও শুনতে হয়। পরে বোর্ডে অভিযোগ জানানোর পর শুধুমাত্র নিজের টাকা বুঝে পান এ অলরাউন্ডার।
ছেলেদের ক্লাব ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের পাওনা নিয়ে গড়িমসির চিত্র দেখা যায় হরহামেশাই। বিসিবির কাছে অভিযোগ জানালে সুরাহা হতেও সময় লাগে না। তবে নারী ক্রিকেটারদের বেলায় একই সমস্যার সমাধান হল প্রায় দুই বছর পর।
করোনার কারণে দুই বছর হয়নি মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগ। ২০১৯ সালে হওয়ায় সবশেষ আসরে শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট একাডেমি তাদের অধিকাংশ ক্রিকেটারের পাওনা বকেয়া রাখে। কারো অর্ধেক কারো এক-তৃতীয়াংশ।
লকডাউনের কঠিন সময়ে অর্থ সংকটে পড়ে ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কেবল আশ্বাসেই মাসের পর মাস অতিবাহিত করে দেয়া হয়।