একটু পরে নামতে হবে ব্যাটিংয়ে। ভারতের নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজের সেদিকে খেয়াল নেই। প্যাড পরে বইয়ের সঙ্গে মিতালি গড়তে ব্যস্ত। সেই দৃশ্য বারবার ভেসে ওঠে টিভির পর্দায়। কিছুক্ষণের মধ্যে এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। মিতালি কেন এমন করেন? এই প্রশ্ন জানতে তার কাছে ঢুঁ মেরেছিল এনডিটিভি।
‘ফিল্ডিং কোচের কাছ থেকে আমি বইটি ধার করেছিলাম। আমি প্রচুর বই পড়ি। এমনকি ব্যাটিংয়ে নামার আগেও। বই আমাকে সাহস যোগায়। শান্ত রাখে। মাঠে নামার আগে সব ধরনের ভীতি দূর করে।’ বলেন মিতালি।
মিতালি কিন্তু ফলও পান। আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম সফল ক্রিকেটার তিনি। টানা সাত ম্যাচে অর্ধশতক করার বিশ্বরেকর্ড আছে তার।
চলতি নারী বিশ্বকাপের যে ম্যাচে বই পড়ার জন্য আলোচিত হয়েছেন, সেই ম্যাচে ৭৩ বলে ৭১ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। ভারত হারিয়ে দেয় স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে।
মিতালি এখন এতটাই জনপ্রিয় যে তার নামে টুইটার একটি ইমোজি চালু করেছে। মিতালি বলছেন তিনি এই ঘটনায় গর্বিত, ‘আপনার নামে একটা ইমোজি থাকলে দারুণ অনুভূতি হবে। আমি গর্বিত। নারী ক্রিকেটের জন্যও এটা ভালো। নারী ক্রিকেটকে এটা গুরুত্ব দেয়।’
মিতালি আরেকটি বিশ্বরেকর্ড গড়ার দ্বারপ্রান্তে আছেন। ১৭৮ ম্যাচে তার রান ৫৮৫২। এই বিশ্বকাপেই তিনি প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ৬ হাজার রানের মালিক হতে পারেন।
মিতালির চিন্তা-চেতনা সবসময় একটু আলাদা। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ভারত অধিনায়ককে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ভারত বা পাকিস্তানের পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে তার প্রিয় কে। মিতালি জবাব দিয়েছিলেন, ‘এই প্রশ্নটা কি আপনারা পুরুষ ক্রিকেটারদেরও করেন? ওদের কাছে জানতে চান ওদের প্রিয় নারী ক্রিকেটার কে? আমাকে সব সময় প্রশ্ন করা হয় ছেলেদের মধ্যে আমার প্রিয় ক্রিকেটার কে। আপনাদের কিন্তু ওদেরও জিজ্ঞেস করা উচিত, মেয়েদের মধ্যে ওদের প্রিয় ক্রিকেটার কে।’