পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনী প্রচারণার কাজে পশ্চিমবঙ্গ গেলেও কলকাতা পৌঁছে প্রথমেই নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ধসের ঘটনাস্থলে যান কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধি। সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি কথা বলেন উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে।
সেখান থেকে রাহুল গান্ধি সরাসরি কলকাতা মেডিকেল কলেজে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন এবং সব রকমভাবে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
হাসপাতালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেন, ‘আমি হাসপাতালে এসেছিলাম আহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা এবং এখানে আমি রাজনীতি বিষয়ক কোনোকিছু নিয়েই কথা বলতে চাই না।’
২ এপ্রিল রাহুল গান্ধির বাংলা সফর আগে থেকেই নির্ধারিত ছিলো। বাঁকুড়া, কুলটি এবং দুর্গাপুরে রাহুলের তিনটি নির্বাচনী জনসভার কথা আগেই কংগ্রেস জানিয়েছিলো। কিন্তু কলকাতার পোস্তায় ভয়াবহ ফ্লাইওভার
রাহুল আগে পোস্তায় যাবেন না আগে মেডিকেল কলেজে যাবেন, তা নিয়ে অবশ্য সংশয় ছিলো। এক সময় শোনা যাচ্ছিলো, তিনি জনসভা থেকে ফেরার পথে ঘটনাস্থলে যাবেন। শনিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস জানায়, রাহুল প্রথমে মেডিকেল কলেজে যাবেন। তার পর জনসভার জন্য রওনা হবেন।
কিন্তু সকাল সোয়া ৯টায় কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর রাহুল নিজেই জানান, আগে পোস্তায় যাবেন তিনি। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রাহুলের কনভয় রবীন্দ্র সরণি হয়ে গণেশ টকিজ মোড়ে পৌঁছায়। ব্যাপক পুলিশি প্রহরার মধ্য দিয়ে ভেঙে পড়া পি-৪০ পিলারের ঠিক সামনে চলে যান তিনি। সেখানে কর্মরত ন্যাশনাল ডিজ্যাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি পরিস্থিতি জেনে নেন। কথা বলেন দমকল কর্মীদের সঙ্গেও।
ফ্লাইওভার ধসের ঘটনাটিকে ঘিরে দুই দলের মধ্যে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পুরো ঘটনার দায়ভার চাপাচ্ছেন বামফ্রন্ট সরকারের ঘাড়ে।
অন্যদিকে বাম দলের বানানো নকশায় ভুল থাকলে মূখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরেও সেই ভুল শুধরালেন না কেনো, সেই প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম।