গত মৌসুমের জন্য উয়েফা বর্ষসেরা ফুটবলারের লড়াই ছিল বার্সেলোনার লিওনেল মেসি, জুভেন্টাসের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডাইকের মধ্যে। দুই মহাতারকাকে টপকে বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন শিরোপাজয়ী অলরেড ডিফেন্ডার ফন ডাইক। সেরা ডিফেন্ডারও হয়েছেন তিনি। আরও একবার প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তিন তারকা। এবার মঞ্চ ফিফা বর্ষসেরার।
২০১৯ ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে আছেন লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও ভার্জিল ফন ডাইক। সোমবার তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা।
জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, বিশ্বজুড়ে ফিফা নির্বাচিত সাংবাদিক ও ফিফা ডটকমে নিবন্ধন করা ফুটবলপ্রেমীদের ভোটে বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয়। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর লন্ডনে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
জাতীয় দলে ভালো না খেললেও বার্সেলোনার হয়ে গতবার দারুণ একটা মৌসুম কাটিয়েছেন মেসি। ক্লাবকে জিতিয়েছেন লা লিগা শিরোপা। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ও কোপা ডেল রের ফাইনালে ওঠাতেও বড় অবদান ছিল আর্জেন্টাইন তারকার। লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩৬ গোল করে একই সঙ্গে জিতে নেন পিচিচি ট্রফি ও ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও করেন সর্বোচ্চ ১২ গোল। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলে ৫৪ গোল করেন মেসি।

অন্যদিকে জুভেন্টাসের হয়ে প্রথম মৌসুম দারুণ কেটেছে রোনালদোর। দলের টানা অষ্টম সিরি আ শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখেছেন। গত মৌসুমে সিরি আ’তে ২১টিসহ সব প্রতিযোগিতা মিলে ক্লাবের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ গোল করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার।
গত মৌসুমে সিরি আ’র সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন পর্তুগিজ তারকা। জাতীয় দলের হয়েও মৌসুমটা দারুণ কেটেছে রোনালদোর। তার নেতৃত্বে উয়েফা নেশন্স লিগ জিতেছে পর্তুগাল। সেমিফাইনালে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেন ৩৪ বছর বয়সী তারকা।
শর্টলিস্টের নতুন নাম ফন ডাইক। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সাউদাম্পটন থেকে লিভারপুলে যোগ দেয়া এই ফুটবলার স্বপ্নের মতো একটা মৌসুম কাটিয়েছেন। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এই সময়ে ৫৯টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে সবচেয়ে কম ২২ গোল হজম করে লিভারপুল। দলের রক্ষণ কতটা শক্তিশালী হলে এমন হতে পারে, তার প্রমাণ ডাইক। আক্রমণেও ভূমিকা ছিল তার, ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে এসময়ে ৯টি গোল করার পাশাপাশি চারটিতে অবদান রাখেন তিনি। ইউরোপা নেশন্স লিগে নেদারল্যান্ডসকে ফাইনালে তোলায় বড় অবদান ছিল ফন ডাইকের।