পাকিস্তানের ৫৫৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। প্রথম ওভারের তামিমের ফেরার পর একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুমিনুল, ইমরুল, মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিক।
দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১০৭ রান। সাকিব আল হাসান ১৪ রানে অপরাজিত আছেন।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে ইয়াসির শাহের বলে মুশফিকুর রহিম বোল্ড হয়ে ফিরে গেলে ফলো অনের শঙ্কায় পড়ে স্বাগতিকরা।
শুরুতেই তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই জুনায়েদ খানের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরে যান তিনি।

তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন মুমিনুল হক। তবে তিনিও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। স্কোর বোর্ডে ৩৪ রান যোগ হতেই ১৩ রান করে জুনায়েদ খানের শিকারে পরিণত হন তিনি।
তার বিদায়ে ইমরুলের সঙ্গি হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদুল্লার সাথে ৩১ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ইমরুল। ইয়াসির শাহের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরে যান খুলনা টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তাদের জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১৬ রান যোগ করতেই মাহমুদুল্লাহকে ফেরান ওহাব রিয়াজ। আজহার আলীর তালুবন্দী হন তিনি।
এর আগে আজহার আলীর ডাবল সেঞ্চুরি এবং ইউনিস খান ও আসাদ শফিকের সেঞ্চুরিতে ৫৫৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান। ৯১তম ওভারের চতুর্থ বলে পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহকে ৯ রানে আউট করেন তিনি।
দলীয় ৫৩০ রানে দ্বি-শতক পূর্ণ করে প্যাভিলিয়নে রপথ ধরেন আজহার আলি। শুভাগত হোমের বলে মাহমুদুল্লার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর একে একে আসাদ শফিক, ওহাব রিয়াজ ও ইয়াসির শাহ ফিরে গেলে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৫৫৭ রান হলে ইনিংস ঘোষণা করে তারা।