কানাডার ক্যালিগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বারে মাত্র একবারের জন্যই কার্লোসের সঙ্গে দেখা হয়েছিল নেদারল্যান্ডের মেয়ে নিকোলির। সেই প্রথম বারেই জমিয়ে আলাপ হয়েছিল দুজনের।
নিকোলি কার্লোসকে তার ফোন নাম্বারও দিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরই কোথায় যেন হারিয়ে গেল মেয়েটি। যে ফোন নম্বরটি দিয়েছিলেন সেটিও ছিল ভুল নাম্বার।
এদিকে কার্লোস জেটিনা তখন নিকোলির প্রেমে হাবুডুবু। কি করবেন ঠিক ভেবে পাচ্ছিলেন না। শেষমেষ ঠিক করলেন,একটা চেষ্টা তো করে দেখা যায়!
ভার্সিটির মেইল গ্রুপে নিকোলি নামের যতো মেয়ে ছিল সবাইকে ব্যাপারটি জানিয়ে মেইল করলেন তিনি। এভাবে প্রায় ২৪৭ জনকে খুব ভদ্র ভাষায় মেইল করেছিলেন তিনি।
‘নিকোলি নামের সব মেয়ের উদ্দেশ্যে এটি একটি গণ মেইল। আপনার নাম যদি নিকোলি হয় এবং আপনি যদি নেদারল্যান্ডের হয়ে থাকেন। তবে দয়া করে যোগাযোগ করুন। আর না হলে এই মেইলটি এড়িয়ে যান’।
বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্ডারগ্রেট শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রফেসর পর্যন্ত নিকোলি নামের যাকেই পেলেই তাকেই মেইলটি করলেন কার্লোস।
Some dude emailed every Nicole at U of C to try to find the girl he met last night and instead they formed a girl gang and I am legit DYING @ucalgary #nicolefromlastnight pic.twitter.com/ql4sxuBADQ
— sarah jurassic park (@ParisEsther) September 8, 2018
আসল নিকোলিকে খুঁজে পেলেন না। কিন্তু যাদের মেইল করেছিলেন তারা সবাই তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এলো। এমন নিষ্ঠাবান একজন প্রেমিককে তার প্রেমিকাকে খুঁজে দিতে সব নিকোলি এক হলেন। তাদের সবার মধ্যে দারুণ এক বন্ধুত্বও গড়ে উঠলো।
এমনকি ফেসবুকে ‘নিকোলি ফ্রম লাস্ট নাইট’ নামে একটা গ্রুপ তৈরি হয়ে গেল।
এখন তারা প্রতিমাসেই একবার করে আড্ডা দেন একসাথে। একজন নিকোলিকে খুঁজতে গিয়ে কার্লোস যেন অনেকগুলো নিকোলিকে তুলে দিলেন একই ট্রেনে। আর তাই কার্লোস তাদের সবার ‘রাজা’।