প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তি নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাবে প্রাপ্তির কথা জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
বিরোধী পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে: এ সফরে দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়নি। বিশেষ করে ফেনী নদী থেকে থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি দেখাতে গিয়ে ২০১৫ সালের সম্পাদিত সীমান্ত চুক্তির কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন: কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক বন্ধুত্বে থাকে। আমরা তো এনেছি, আমরা যে সবকিছু দিয়ে ফেলেছি বিষয়টি এমন না। আমাদের পাওয়ার বিষয়টা অনেক বেশি, কারণ সীমান্ত সমস্যার সমাধান সেটা আমরাই করেছি। যারা (বিএনপি) এ ধরনের অভিযোগ করে তারা করতে পারেনি। সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন ৬৮ বছর পরে হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার এবং নরেন্দ্র মোদির সরকার এটা কার্যকর করতে পেরেছে। পৃথিবীর কোনো দেশের ছিটমহল হস্তান্তর শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। সামান্য কয়েক দিনের ব্যবধানে এখানে ছিটমহলের শান্তিপূর্ণ বিভিন্ন বিনিময় হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক রাজনৈতিক ইস্যুতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের।
এসময় তিনি বলেন: সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারত কিন্তু আপিল করেনি। সম্পর্কটা ভালো থাকলে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। সম্পর্কটা বৈরিতার মধ্যে থাকলে কিছুই পাওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী ২১ বছর তার প্রমাণ। সেই ২১ বছরে ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বজায় রেখে আমরা কিছুই পাইনি, বরং আমাদের ক্ষতি হয়েছে। বৈরিতা করে কোনো কিছু পাওয়া যায় না। সম্পর্ক ভালো থাকলে একটা সময়ের ব্যাপার। গঙ্গা চুক্তি শেখ হাসিনার আমলে হয়েছে। তিস্তা চুক্তিও ইনশাল্লাহ শেখ হাসিনার আমলেই হবে। এ বিষয়ে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এই চুক্তিও সম্পন্ন হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে চাপা দিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গ্র্র্রেপ্তারের জন্য রোববারকে বেছে নেওয়া হয়েছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: এটা কি আপনাদের কাছে হাস্যকর মনে হয় না? দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার যে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করছে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সরকারের সম্পর্ক কী? সূত্রটা তারা কোত্থেকে আবিষ্কার করলেন? এর কোন মানে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। তাদের এমন দাবির পেছনে রহস্যটা কী?