পরিসংখ্যানটা দেখে বার্সেলোনার গায়ে জ্বালা ধরারই কথা। বুড়ো বলে যাকে তাড়িয়ে দেয়া, সেই লুইস সুয়ারেজ ৩৩ বছর বয়সেও দেখাচ্ছেন ভেল্কি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যেন নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন নিজেকে। এপর্যন্ত ২১৬ মিনিট খেলেছেন অ্যাটলেটিকোয়, ম্যাচ হিসেবে চারটি। যাতে প্রতি ৫৪ মিনিটে হয় গোল করেছেন, নয়তো গোলে রেখেছেন অবদান।
অ্যাটলেটিকোর হয়ে প্রথম ম্যাচে বদলি নেমে জোড়া গোল করেছিলেন সুয়ারেজ। পরের তিন ম্যাচে করেছেন আরও এক গোল, করিয়েছেন আরেকটি। প্রতি ৫৪ মিনিটে একটি করে গোলের পেছনে জড়িয়ে তার নাম। অ্যাটলেটিকোর অন্য কিংবদন্তির তুলনায় তার গোলের গড় সবচেয়ে উপরে।
সুয়ারেজের আগে অ্যাটলেটিকোর হয়ে শুরুতে সবচেয়ে ভালো গোল গড় ছিল রাদামেল ফ্যালকাওয়ের। দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিক আর তৃতীয় ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। করিয়েছিলেন এক গোল। সুয়ারেজের তুলনায় অনেকবেশি খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ফ্যালকাও। প্রথম চার ম্যাচে তিনি সবমিলিয়ে ৩৩৮ মিনিট খেলেছিলেন, প্রতি ৫৬ মিনিটে একটি করে গোলের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল তার নাম।
অ্যাটলেটিকোর সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার পাঁচে আছেন অ্যান্টনিও গ্রিজম্যান। শুরুর দিকে গোল করা বা করানো, কিছুই পারেননি বর্তমানে বার্সায় খেলা ফরাসি ফরোয়ার্ড। ক্লাবটির আরেক কিংবদন্তি ডিয়েগো ফোরলানও শুরুর কয়েক সপ্তাহ ভুগে গোল পেয়েছেন অ্যাটলেটিকোর হয়ে।

নিঃসন্দেহে সুয়ারেজের এমন রেকর্ড বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তৃপ্তি দেবে অ্যাটলেটিকো কোচ ডিয়েগো সিমিওনেকে। ফুটবল যদিও পরিসংখ্যানের খেলা নয়। মাঠের ফুটবলটাই আসল। সেক্ষেত্রেও এগিয়ে সুয়ারেজ। বায়ার্ন তার চেনা প্রতিপক্ষ। গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দেখা হয়েছে জার্মানদের সঙ্গে। অবশ্য সে ম্যাচের কথা ভুলে যেতে চাইবেন উরুগুয়ে তারকা। বার্সার হয়ে ওই ম্যাচে ৮ গোল হজম করার পর কাতালোনিয়া ছাড়তে হয়েছে তাকে।