টাংগাইল রাজনীতিতে নতুন সূচনা হতে পারে এ পৌর নির্বাচনে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন, নতুন নেতৃত্ব আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা বিএনপি মনে করছে, আন্দোলনের অংশ হিসেবেই এ নির্বাচন তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।
বির্তকিত মন্তব্যের কারণে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় লতিফ সিদ্দিকীকে আর হত্যা মামলায় বর্তমান মেয়র শহিদুর রহমান রহমান খান মুক্তিসহ তার ভাইয়েরা পলাতক। দলের স্থানীয় নেতারা বলছেন, টাংগাইল আওয়ামী লীগ এবার দুই পরিবারের প্রভাবমুক্ত।
আওয়ামী লীগ সভাপতি, ফজলুর রহমান খান ফারুক বলেন, কিছু সংখ্যক বিশৃঙ্খল নেতা কর্মীদের জন্য সুষ্ঠু রাজনীতির প্রভাব এখানে ছিল না, তবে এখন সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ রয়েছে। আটটি পৌরসভার দু’এক জায়গা বাদে প্রতিটি জায়গাতে আওয়াশী লীগ প্রার্থীর জয় হবে বলে আমি আশা করি।
অপরদিকে নিজেদের জয়ের ব্যাপারেই বেশি মনযোগী বিএনপি। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ বিএনপির।
বিএনপি সভাপতি আহমেদ আজম খান বলেন, গণতন্ত্র আর আন্দোলনের পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে আমরা এই পৌর নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছি। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। আর যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে বিএপি প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।
টাংগাইলে ৮টি পৌরসভায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য যেমন জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের পরীক্ষা, তেমনি বিএনপিরও টিকে থাকার লড়াই।