বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), জার্মান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এন্টারপ্রাইজ জিআইজেড এবং পার্টিসিপ জিএমবিএইচ বিজিএমই’র সদস্যভূক্ত কারখানার পার্টিসিপেশন কমিটি, সেফটি কমিটি এবং এন্টি-হ্যারাসমেন্ট কমিটির সক্ষমতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান পিআর অফিসে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, জিআইজেড প্রকল্প সমন্বয়কারি ড. মাইকেল ক্লোড এবং পার্টিসিপ জিএমবিএইচ সিনিয়র উপদেষ্টা মো. মঞ্জুর মোর্শেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
সমঝোতা স্মারকের লক্ষ্য হলো- উল্লেখিত কমিটিগুলোর প্রতিটিতে শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সু-সম্পর্ক সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সেটা রক্ষা করা।
স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্মারকের অধীনে বিজিএমইএ’র মাষ্টার ট্রেইনার যারা ইতোমধ্যে ৫দিনের টিওটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, তারা অংশগ্রহণকারী সদস্য কারখানা কমিটিগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে এবং কমিটিগুলো যাতে আরও কার্যকরী ভাবে কাজ করতে পারে, সে লক্ষ্যে কমিটিগুলোর সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।

ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিগত ৮ বছরে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, বিশেষ করে অগ্নি, বৈদ্যুতিক এবং স্থাপত্য নিরাপত্তা বিষয়ে নজিরবিহীন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ বছরগুলোতে নিরাপত্তার সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা তৈরির ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। যা অগ্নিমহড়া, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ইস্যু, সামাজিক সংলাপ এবং সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক সবই কভার করে। এই উদ্যোগটি বিভিন্ন কমিটিকে আরও কার্যকরী করতে শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিদের সক্ষমতা আরও বাড়াবে।
মাইকেল ক্লোড বলেন, ‘জিআইজেড এর উদ্দেশ্য হলো কারখানায় ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মী, সুপারভাইজার এবং শ্রমিকদের মধ্যে সংলাপ এবং যোগাযোগের সুবিধাগুলোর বিষয়ে কারখানাগুলোকে অভিজ্ঞ করে তোলা। তাই, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সামাজিক ও পরিবেশগত মান বিষয়ে উন্নত যোগাযোগ নিশ্চিতকরণ ও জেন্ডার ইস্যুগুলো এড্রেস করতে কমিটিগুলোর বিষয়ে বিজিএমইএ-এর সাথে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিজিএমইএ পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক রাজীব চৌধুরী ও সাবেক পরিচালক এএনএম সাইফুদ্দিন এবং জিআইজেড সিনিয়র উপদেষ্টা সারওয়াত আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।