পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে রেইনকোট এবং মোটরবাইকের হেলেমেট পরেই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন অনেক ভারতীয় চিকিৎসক।
এনডিটিভি জানায়, অনেক চিকিৎসক নভেল করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

তারা বলছেন, নিরাপত্তার জন্য মাস্ক ও পিপিই না থাকার ফলে তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
কলকাতায় বেলেঘাটা সংক্রামক রোগ হাসপাতালে গত সপ্তাহে রোগীদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষার করার সময় প্লাস্টিকের রেইনকোর্ট সরবরাহ করা হয় বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলছেন, ‘আমরা আমাদের জীবন শেষ করে দিয়ে তো কাজ করতে পারি না। তবুও করে যাচ্ছি‘।
তবে ওই হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ইনচার্জ ডা. আসিস মান্না এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
হরিয়ানার ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সন্দ্বীপ গার্গ বলেছেন, করোনায় চিকিৎসা দিতে গেলে এন ৯৫ মাস্ক দরকার হয়, পিপিই দরকার পড়ে। তা না থাকায় তিনি মোটরবাইকের হেলমেট ব্যবহার করেই চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলছেন, এটা ঝুঁকিপূর্ণ। যদিও আমি সাময়িক কাজ চালিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি।
তবে সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ঘাটতি পূরণের জন্য ভারত স্থানীয়ভাবে এবং চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
মহামারী করোনার আঘাতের এই দুর্দশার মাধ্যমে বছরের পর বছর অবহেলিত জনস্বাস্থ্যের চিত্র ফুটে উঠেছে ভারতে। ভারত তার জিডিপির মাত্র ১.৩% জনস্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করে থাকে, যা বিশ্বের মধ্যে সবার চেয়ে কম।
মহামারী নভেল করোনা ভাইরাসে ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ২৫১ জন মারা গেছে ৩২ জন।