
কাশ্মীরে চলমান কঠোর নিষেধাজ্ঞা পর্যায়ক্রমে বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একেকটি এলাকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ধাপে ধাপে অবরোধ তুলে নেয়ার কাজ করছে। ইতোমধ্যে জম্মু অংশের বেশিরভাগ এলাকায়র স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আগের অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে অফিশিয়াল টুইটার পেজ থেকে জানান তিনি।
মাঠ পর্যায়ে যেসব এলাকার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে সেখানে রাজ্য প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে বলে জানানো হয়েছে ওই টুইটে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র সরকারের কঠোর পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে মঙ্গলবার বলেন, জম্মু কাশ্মীরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রাণহানি এড়াতে এবং মানুষের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছিল।

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রহিতের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের প্রায় ৭০ বছর ধরে পেয়ে আসা স্বায়ত্তশাসনসহ বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজ্যটিকে ভেঙে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নামে দুটি আলাদা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই ফুঁসে উঠেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জনগণ।
The restrictions in #JammuKashmir are being eased out in a phased manner in the Valley and the situation in the Jammu division has been restored after assessment by relevant local authorities. (1/4)@diprjk @JmuKmrPolice
— Spokesperson, Ministry of Home Affairs (@PIBHomeAffairs) August 13, 2019
বলতে গেলে ওই দিনের আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং কাশ্মীরিদের সে অঞ্চলে ঢোকা-বের হওয়া বন্ধের পাশাপাশি সব ধরনের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। রাস্তায় নামানো হয় সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি। তবে ৯ আগস্ট তা কিছুটা শিথিল করা হয়। লেহ ও জম্মু থেকে তুলে নেয়া হয় ১৪৪ ধারা। খুলে দেয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
ঈদ উপলক্ষে শনিবার থেকে কারফিউ তুলে নেয়া হলেও ঈদে নিরাপত্তার বিষয়ে আশঙ্কার কথা বলে রোববার সকাল থেকে আবারও শুরু হয় কারফিউ।