শনিবার মধ্যরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের পর তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে কারাকর্তৃপক্ষ।
কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। পরে রাত ৩ টার দিকে লাশ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
লাশ নেওয়ার জন্য কারা ফটকে উপস্থিত ছিলেন মাজেদের স্ত্রী ডা. সালেহা বেগম, চাচা শ্বশুর আলী আক্কাস, শ্যালক শহিদুজ্জামান সরকার, ভাতিজা আবদুস সালাম, ভাতিজার স্ত্রী সোনিয়া।
কারা সূত্র জানায়, মাজেদের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাটামারা গ্রামে তাকে দাফন করা হবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন এই মাজেদ। তখন তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন।
গত ৭ এপ্রিল দুই দশকের বেশি সময় ধরে পলাতক থাকা মাজেদকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করে সরকার।
সেদিন এক ভিডিও বার্তায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আবদুল মাজেদকে ৬ তারিখ দিবাগত রাত তিনটার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে আটক করে।
৮ এপ্রিল মাজেদকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার পর ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল চৌধুরী খুনি মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন।
সেদিনই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন মাজেদ। কিন্তু রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পরেরদিন বৃহস্পতিবার সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর এখনো বিভিন্ন দেশে পলাতক আছেন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত আরও পাঁচ খুনি।
তারা হলেন; খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই পাঁচজনও সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
