উপমহাশের প্রখ্যাত বংশীবাদক, শিল্পী বারী সিদ্দিকীর চতুর্থ প্রয়াণ দিবস বুধবার (২৪ নভেম্বর)। এদিন নেত্রকোনায় প্রিয় শিল্পীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ভক্তরা।
বুধবার বিকেলে নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কার্লি গ্রামে নিজে প্রতিষ্ঠিত বাউল বাড়িতে শায়িত শিল্পীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভক্ত অনুরাগীরা।
হিমু পাঠক আড্ডার উদ্যোগে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় বারী সিদ্দিকীর সহধর্মীনি পারভীন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় যুবলীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ওমর ফারুক, সাংবাদিক আলপনা বেগম, শিক্ষক নাইম সুলতানা লিবন সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
লাখো শ্রোতার হৃদয়ের মনিকোঠায় বারী সিদ্দিকী ছিলেন লোকগানের অপার ভাণ্ডারে। একখণ্ড হীরকের মতো জ্বলজ্বলে। শুধু কণ্ঠশিল্পী হিসেবে নয়, বাঁশির জাদুকরী সুর তোলার ক্ষেত্রেও বারী সিদ্দিকী ছিলেন অতুলনীয়।
১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিতে গান গেয়ে সংগীতশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন দীর্ঘদিন ধরে বাঁশি বাজানো বারী সিদ্দিকী। এরপর বেশকিছু গান গেয়ে তিনি পৌঁছে যান সব শ্রেণির শ্রোতার কাছে। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ ইত্যাদি।
১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় এক সংগীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বারী সিদ্দিকী। শৈশবে পরিবারের কাছে গান শেখায় হাতেখড়ি হলেও ১২ বছর বয়সেই তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ গোপাল দত্ত, ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অনেক গুণীশিল্পীর সান্নিধ্যে থেকে। ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যু বরণ গুণী এই শিল্পী।