নেতৃত্বের ব্যর্থতা থেকেই বিডিআর ট্র্যাজেডি হয়, এমন মন্তব্য করেছেন পুনর্গঠিত বিডিআরের প্রথম মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যান্ট জেনারেল মইনুল ইসলাম।
তিনি বলেন: বিদ্রোহের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মনোবল ফিরিয়ে আনা। পুনর্গঠনের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে নতুন নামে আসা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিজিবি’তে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার ঘটনায় যখন স্তব্ধ পুরো দেশ, তখন ২৭ ফেব্রুয়ারি বিডিআর প্রধান হিসেবে যোগদান করেন তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইনুল ইসলাম। পরে মেজর জেনারেল এবং লেফটেনেন্ট জেনারেল হয়ে অবসরে যান তিনি। বিডিআরের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিনতম সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন এই কর্মকর্তা।
এটা কী ষড়যন্ত্র না স্রেফ বিদ্রোহের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি? এই প্রশ্নের ব্যখ্যা দেন মইনুল ইসলাম। তিনি বলেন: আমি নি:সংকোচে বলতে সেখানে নিঃসন্দেহে কমান্ড ফেইলিওর ছিল। একটা লিফলেট কিন্তু তার আগে ছাপানো হয়েছিল। ঘটনার পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে যে, এই লিফলেটের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন বড় বড় অফিসারের গাড়ির চালক বা অ্যাসিস্ট্যান্ট যারা থাকে, তারা কিন্তু আকারে ইঙ্গিতে এটা বিভিন্ন লোকের সাথে শেয়ার করেছে। ‘বেশি দিন থাকবে না’, ‘দিন শেষ হয়ে আসছে’, ইত্যাদি ইত্যাদি। সেই জিনিসটাকে আমাদের বড় একটা প্যারেডকে সামনে রেখে আমি মনে করি আন্ডারপ্লে করা হয়েছে। এই বিষয়টাকে আমি মনে করি যে কার্পেটের নিচে ধামাচাপা দেওয়াটা অনেকের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর কারণ হয়েছে।

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেন মইনুল।
অবসরপ্রাপ্ত এই লেফট্যান্ট জেনারেল বলেন: শৃঙ্খল কোনো বাহিনীকে দীর্ঘদিন বড় ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নিয়োজিত রাখা যুক্তিযুক্ত নয়। একইসঙ্গে হত্যা মামলায় আসামীর তালিকা দীর্ঘ হওয়াটাকেও সমর্থন করেন না মইনুল ইসলাম।
শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনদের মতো তিনিও অপেক্ষায় আছেন সহকর্মীদের হত্যার বিচারের।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে