যে কোন ধরণের দুর্যোগময় পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থায় প্রাকৃতিক অথবা মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় পেশাগত সহায়তা নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে রাজধানীর মিরপুরের একটি এলাকার বাসিন্দারা।
মিরপুরের পল্লবীর রূপনগর টিনশেড এলাকার বাসিন্দারা যে কোন দুর্যোগময় পরিস্থিতি ও ঝুঁকি সনাক্ত করে মোকাবিলা করতে তাদের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় ‘টাউন ওয়াশিং’ অনুশীলন করছে।
এলাকাবাসী জানান, কোন ঝুঁকি সম্পর্কে এবং জরুরি উদ্ধার অভিযানের ওপর নির্ভরতা হ্রাসে এলাকাবাসীর ভূমিকা সম্পর্কে জনগণের মনে একটি ধারণা সৃষ্টি করতে সাধারণ জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য মহড়া করা হয়।
ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মহড়ার সময়ে ওয়ার্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যগণ, নগর স্বেচ্ছাসেবী, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক এবং বাসিন্দারা দলবদ্ধ হয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকায় চারিদিকে হাটবে।
তাদের উদ্দেশ্য হবে, ঝুলন্ত তার, ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, সরু রাস্তা এবং খোলা জায়গা ও পানির উৎস’র মতো সম্পদ সনাক্ত করা।
টাউন ওয়াচিংয়ের পর এলাকাবাসী তাদের নিজস্ব ঝুঁকির ম্যাপ তৈরি করবে যেখানে ঝুঁকি ও সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্র উভয় উল্লেখ থাকবে।
বাংলাদেশের নগর এলাকায় ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর কমিউনিটি বেইজড ডিআরআর’ শিরোনামের একটি প্রকল্পের অধীন জাপান ভিত্তিক এনজিও সিডস এশিয়া ও ডিএনসিসি যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। ঝুঁকিমুক্ত নগরী গড়ে তুলতে স্থানীয় পর্যায়ে ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নে ডিএনসিসি’র প্রস্তাবে গত বছরে প্রকল্পটির উদ্যোগ নেয়া হয়।
ডিএনসিসি’র পরিবেশ, জলবায়ু এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের সুপারিন্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ড. তারিক বিন ইউসুফ বলেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণকে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে টাউন ওয়াচিং একটি খুবই কার্যকর যন্ত্র। কেবলমাত্র ওয়ার্ড কমিশনারগণ তাদের নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যাগুলো সনাক্ত করার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করতে পারে। এটি এখন একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে।
তিনি বলেন, ডিএনসিসি সম্প্রতি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নিজ নিজ এলাকার বাসিন্দাদের সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে টাউন ওয়াচিং মডেল ব্যবহারে ওয়ার্ডকমিশনারদেরকে উৎসাহিত করছে।