নিউজিল্যান্ডে সব স্কুলে বিনামুল্যে ছাত্রীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবার করা হবে। দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করে আসছিলো, স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার সামর্থ্য না থাকায় কিছু ছাত্রী পিরিয়ডের সময়ে স্কুলে অনুপস্থিত থাকছে।
বিষয়টি লক্ষ্য করার পর ১৫টি স্কুলে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ পাইলট প্রকল্প সফল হওয়ায় দেশের প্রতিটি স্কুলে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিকা আরডার্ন বলেছেন, যে বিষয়টি স্বাভাবিক জীবনের অংশ তার কারণে তরুণীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে সেটা কাঙ্খিত নয়।
তিনি আরো জানিয়েছেন প্রতি ১২ জন তরুণীর একজন স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে না পেরে স্কুলে অনিয়মিত থাকছে। এ পরিস্থিতিকে ‘পিরিয়ড দারিদ্র’ বলেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এ দারিদ্র দূর করতে বিনামূল্যে সানিটারি সামগ্রি সরবরাহকেই সহজ সমাধান বলে মনে করেছেন। তিনি জানান, স্কুলে তরুনীদের উপস্থিতি বাড়িয়ে দেশের ছেলেমেয়েদের কল্যাণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলাই এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য।
নিউজিল্যান্ড সরকারের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খরচ হবে এক কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। গত নভেম্বরে স্কটল্যান্ড বিশ্বে প্রথম সকল নারীর জন্য বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ শুরু করে।

যুক্তরাজ্যের সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেয়া শুরু হয় গত বছরে। যুক্তরাষ্ট্রের কোন কোন অঙ্গরাজ্যে স্কুলগুলোতে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের আইন পাশ করা হয়েছে।
