Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

নর্থ সাউথে ১০ দিনব্যাপী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ সিনে অ্যান্ড ড্রামা ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘এনএসইউ ইন্টারন্যাশনাল শর্টফিল্ম ফেস্টিভাল ২০২০’। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে উৎসবটি চলবে টানা ১০ দিন।

অনুষ্ঠান আয়োজনে ওয়ার্কশপ, মাস্টার ক্লাস, সেমিনারের পাশাপাশি থাকছে অভিনয় শিল্পীদের সাথে চলচ্চিত্র আড্ডা। এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারির শেষে এই উৎসবের পর্দা নামার কথা রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অনেক গুণীজন উপস্থিত থাকবেন।

উৎসবকে সামনে রেখে ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে দেশ এবং বিদেশ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মাণ করা শর্ট ফিল্ম জমা নেওয়ার কাজ। যা চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ‘শর্টফিল্ম জমা দিতে ক্লিক করুন এখানে’।

এ প্রসঙ্গে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সিনে অ্যান্ড ড্রামা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট দেবাংশু পল্লব বলেন, এই শর্টফিল্ম ফেস্টিভালকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করেছি আমরা। দেশ এবং বিদেশ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের তৈরি শর্টফিল্ম জমা দিচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রায় ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শর্ট ফিল্ম জমা পড়েছে। ফেস্টিভালকে আন্তর্জাতিক মানসম্মত করতে দেশ-বিদেশ বরেণ্য গুণী বিচারকদের মাধ্যমে জমা পড়া ফিল্মগুলোর মান যাচাই এবং উপস্থাপন করা হবে এবং সেরা চলচ্চিত্রকে সম্মানিত করা হবে।

ক্লাবটির জয়েন্ট সেক্রেটারি হুমায়ুন আহমেদ শ্রাবণ বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের চলচ্চিত্র ভাবনা অনেক অগ্রসর হচ্ছে, এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের বানানো চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পাবে।

আয়োজন জুড়ে থাকবে চলচ্চিত্রের উপর বিভিন্ন ওয়ার্কশপ। যেখানে ওয়ার্কশপ পরিচালনা করবেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী, রাশেদ জামান, সামির আহমেদ, জাহিদুর রাহিম অঞ্জনসহ অনেকেই।

এর পাশাপাশি থাকবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা। এবারের এই উৎসবের অ্যাম্বাসেডরের ভূমিকায় থাকছেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু, তারেক আনাম খান, শতাব্দী ওয়াদুদ, আরেফিন শুভ, আশনা হাবিব ভাবনা, শবনম ফারিয়া, অর্চিতা স্পর্শিয়াসহ অনেকেই।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এই শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভালের যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন শর্টফিল্ম ফেস্টিভাল হিসেবে। যা ২০১৫ সালে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম ফেস্টিভালে রূপ নেয়। যেটাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের ৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালেও বেশ বড় করে আয়োজন করা হয় এই প্রতিযোগিতা।

Exit mobile version