নর্থ কোরিয়ার ৫ জন কর্মকর্তার উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। দেশটিতে অত্যাধুনিক ব্যালেস্টিক (হাইপারসনিক) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরই যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এ ধরণের পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এর বরাতে বুধবার বলা হয়, নর্থ কোরিয়ার মিসাইল প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া ও ভুমিকার রাখার দায়ে তাদের এ নিষেধাজ্ঞামূলক শাস্তি প্রদান করা হলো।
ট্রেজারিজ চিফ অব টেরোরিজম এন্ড ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর প্রধান ব্রায়ান নেলসন বলেন, এই মিসাইল টেস্টের মাধ্যমে নিষিদ্ধ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয়েছে। এ ধরনের কর্মকান্ডে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের চাপকেও অবহেলা করা হয়েছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর লিন্ডা থমারস এক টুইট বার্তায় এ ধরনের কার্যক্রমকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের নীতিমালা লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।
বুধবার নর্থ কোরিয়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে এবং এই পরীক্ষা তাদের নেতা কিম জন উন প্রত্যক্ষ করেছেন।
নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মাধ্যমে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয় মঙ্গলবার এবং সমুদ্রে প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে এটি তার দিক পরিবর্তন করতেও সক্ষম হয়।
এটি ছিল নর্থ কোরিয়ার তৃতীয় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।