প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকেই গণসংযোগ অার উঠান বৈঠকের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনের বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা।
এছাড়াও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। প্রতিদিনই প্রার্থীরা উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। মাঠে আছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ ৫ প্রার্থী।
তেমন কোন পোস্টার ও মাইকিং চোখে না পড়লেও গণসংযোগ ও বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় জমে উঠেছে নরসিংদী-৫ আসন।
নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
এবার আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন।
তবে ভোটাররা সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে বিরাট ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিএনপি প্রার্থী।
শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও বসে নেই নৌকার প্রার্থী পাঁচবারের সাংসদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। তার দাবি, প্রতিপক্ষ শক্তিশালী না হওয়ায় নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হবে।
রায়পুরার জনগণ পরিবর্তন চায় দাবি করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জানান, রায়পুরাকে আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে জাতীয় পার্টির কোন বিকল্প নেই।
এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বানে এই আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আশরাফ উদ্দিন (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম. এ. সাত্তার (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুল মোমেন (হাতপাখা) ও বিএনএফ এর প্রার্থী মো. বিটু মিয়া (টেলিভিশন)।