নতুন অর্থবছর থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। তবে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ভ্যাট হিসাব রাখতে অনাগ্রহী। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, হঠাৎ করে চাপিয়ে না দিয়ে ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করলে সুফল পাওয়া যাবে। বিশ্লেষকদের মতে, এই আইনের ফলে ভ্যাট আদায় খুব না বাড়লেও ফাঁকি বন্ধের পাশাপাশি পদ্ধতির আধুনিয়কায়ন হবে।
১৯৯১ সালে ভ্যাট আইন করার পর থেকে পণ্য ও সেবা মূল্যের উপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিয়ে আসছেন ভোক্তারা। ভ্যাট সংগ্রহের বর্তমান প্রক্রিয়া সেকেলে, কাগজে কলমে হিসাব রাখায় অনেক ক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়া যেমন সহজ হয় তেমনি ভোক্তারাও এ নিয়ে খুব সচেতন নন। ২০১২ সাল থেকে সরকার পুরনো আইনকে যুগোপযোগী করে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। কিন্তু, গত বাজেটের আগে শেষ মুহূর্তে বাস্তবায়ন থেকে সরে আসে সরকার।
নতুন ভ্যাট আইনে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৭টি স্তর থাকতে পারে। পুরনো ইসিআর পদ্ধতিতে দুর্নীতির সুযোগ থাকায় নতুন ফিসক্যাল ডিভাইস বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে নতুন আইন নিয়ে এখনো দ্বিধাগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশে ফেইসবুক ও গুগলের ব্যবসাকেও ভ্যাট আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে নতুন আইনে।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: