নকল মাস্ক ও পিপিই ক্রয়-বিক্রয় ও প্রস্তুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, এমন হাসপাতালে নকল মাস্ক ও পিপিই দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে অনেকে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই এ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা লক্ষ্য করেছি, বিভিন্ন জায়গায় নকল মাস্ক এবং পিপিই ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওষুধ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, বিক্রয় ও প্রস্তুতকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য, যা চলমান রয়েছে।’

এর আগে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, বেশকিছু হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আমাদের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। যার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করি এবং তাদের সুস্থতা কামনা করি। কারণ তারাই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন।’
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৮৪ হাজার ৩৫২ জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাত লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়, পরে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে চলমান সাধারণ ছুটি আরও ১০ দিন বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করেছে সরকার। এ সময়ে দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।