পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব এবার আরও প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকায় সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি তৌফিক এহেসানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি।
রোববার বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও মহাসচিব জহিরুল হক ভূইয়া এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, গতকাল শনিবার সিদ্ধেশ্বরীর আনারকলি সুপার মার্কেটে সংগঠনের কার্যােলয়ে কার্যনির্বাহী সভায় বহিষ্কারের জোর দাবি উঠার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় হয়।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি তৌফিক এহেসান জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনকে বহিষ্কার ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দোকান মালিক সমিতির ওই সভায় সমিতির ঢাকা মহানগরের বক্তারা অভিযোগ করেন, তৌফিক এহেসান নির্বাচন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে মার্কেট ও বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণসহ চাঁদাবাজির সব তথ্য উপস্থাপন করবেন তারা।
তাদের অভিযোগ, তৌফিক এহেসানের সব অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিকট সমিতির সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‘‘তিনি (তৌফিক এহেসান) ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির নামে একটি অঅনুমোদিত সংগঠন পরিচালনা করছেন। যার সভাপতি হিসাবে নিজেকে দাবি করেন। এই পদ ব্যবহার করেই তিনি চাঁদাবাজি করেন।’’
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে গত ১৩ অক্টোবর গঠনতন্ত্রের নিয়ম বহিভূর্তভাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে সমিতি ও সমিতির সভাপতির নামে মিথ্যা, অমূলক, কাল্পনিক মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর কথা বলেন। যা তিনি সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি হিসাবে করতে পারেন না।’
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ‘ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি’ নামে কোন সংগঠনকে অনুমোদন প্রদান করে নাই।
‘‘ওই সভায় তৌফিক এহেসানকে বহিষ্কারের দাবি উঠার পর বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির আইন বিষয়ক সচিব অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের আইনি পরামর্শক মোতাবেক তাকে বহিষ্কারের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পাশাপাশি এখন থেকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতিতে যাতে কোন প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি ও সকল জেলার দোকান মালিকদেরকে অবহিত করা হয়।’’
পরে সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মত ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ দোকন মালিক সমিতি নামে ২টি সংগঠনে বিভক্ত করা হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক কামরুর হাসান বাবু ও ও ঢাকা মহানগর উত্তর দোকান মালিক সমিতির মোহাম্মদ আলীকে আহ্বায়ক মনোনিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
সভায় বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।