আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের যারা বিদেশে পলাতক তাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ বলায় সংগ্রাম পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল বলেন: এটা আমাদের নজরে আছে, সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দৈনিক সংগ্রামের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এখনো যেসব অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে তাদের মূল উৎপাটন করা হবে। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে বুদ্ধিজীবীদের যারা হত্যা করেছে, একাত্তরের প্রেতাত্মা, সাম্প্রদায়িক নব-অপশক্তি আজও এরা বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। এসব বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদের প্রতিহত করবো, পরাজিত করবো।
একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার হোতা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চৌধুরী মঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি এর কারণ আছে। সেটি হচ্ছে যে দেশে তারা পালিয়ে আছে সে দেশের আইনগত বাধা আছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তকে আনা আইনে অ্যালাউ করে না। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রে যারা পালিয়ে আছেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে একটু অগ্রগতি হয়েছে। আমরা বোধ হয় তাদের তাড়াতাড়িই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো। চৌধুরী মঈনুদ্দিন, আশরাফ এরা বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড বিচারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। এদেরকে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে৷
বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন: তালিকা একটা আছে, এটা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের ভুল-ত্রুটি আছে কিনা। তাতে সংযোজন, সংশোধন ও বিয়োজন হতে পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীমসহ অনেকে।