চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

দেশের বাইরে থেকেও হাজার হাজার মানুষ ‘জন্মদাগ’ দেখছে: ভিকি জাহেদ

নির্মাণে আবারও নিজের সামর্থের পরিচয় দিলেন সময়ের চাহিদা সম্পন্ন নির্মাতা ভিকি জাহেদ। চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত ‘জন্মদাগ’ নাটক দিয়ে আবারও আলোচনায় এই তরুণ নির্মাতা। যে নাটকটি নিয়ে মুগ্ধ দেশ-বিদেশের দর্শক। আফরান নিশো, মেহজাবীন, অর্ণব অন্তু অভিনীত প্রেম ও প্রতারণার গল্পে সাজানো ‘জন্মদাগ’। যা প্রচারের পর ব্যাপকভাবে সাড়া পড়ে। সর্বমহলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হওয়া এ নাটক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভিকি জাহেদ কথা বললেন চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে:

‘জন্মদাগ’ প্রচারের পর কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আলহামদুলিল্লাহ্‌ খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে টপ লিস্টে রয়েছে। পুরো নাটকটা দেখেই দর্শক মন্তব্য জানাচ্ছেন। কারণ, শেষ পর্যন্ত না দেখা পর্যন্ত কিছু বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। শেষ পাঁচ মিনিটে আসল টুইস্ট। নাটকটা যখন বানাই তখন নিজেরাই আলাপ করছিলাম, প্রচারের পর হয়তো কিছু ক্রিটিকস মন্তব্য জানাবেন। কিন্তু সাধারণ দর্শক প্রচুর পছন্দ করেছেন কাজটি। অবাক হয়েছি। দেশের বাইরে থেকেও হাজার হাজার মানুষ দেখছে। আমার প্রবাসী বন্ধুরাও টেক্সট দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। তারা আবার তাদের বন্ধুদের দেখতে উৎসাহিত করছে। নির্মাতা শিহাব শাহীনভাই সহ কয়েকজন নির্মাতা ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ‘কাজটি দুর্দান্ত ভালো হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন। ভিউসও ১৩ লাখের কাছাকাছি। সবে তো শুরু। আশা করছি, শিগগির কোটিতে পৌঁছুবে।

Bkash July

এ ধরনের গল্প ঠিক করলেন কীভাবে?
এমন গল্পের থ্রিলার বানানোর ইচ্ছে ছিল অনেকদিন থেকে। বেশিরভাগই রোম্যান্টিক কমেডি নাটক নির্মিত হয়। তাতে ভিউ বেশি হয়। কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমার ইচ্ছে ছিল, রোমান্সের ছদ্দবেশে থ্রিলার বানানোর। এজন্যই এ গল্প তৈরি করেছি। সবসময় মনে হতো, স্বামীর সামনে থেকেই ধর্ষকরা যদি তার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যায় তখন স্বামীর অবস্থা কেমন হবে! কতটুকু মানসিক দহনে জ্বলবে স্বামী! গল্পটা এভাবেই ভেবেছি। এরপর চিন্তা-পাল্টা চিন্তা দিয়ে টুইস্ট রাখার জন্যই শেষে গল্পটা অন্যভাবে বলেছি।

আপনার নির্মিত প্রায় সবগুলো কাজই দর্শক পছন্দ করেছে। কম কাজ করেন বলেই কি আপনার নাটকগুলো ভালো হয়?
যে কোনো নতুন কাজের জন্য আমি প্রচুর সময় দেই। মাসে একটার বেশি কাজ করা সম্ভব হয় না। বেশি কাজ করলে শান্তি পাইনা। গল্পটাই ভাবি এক দুই সপ্তাহ ধরে। চিত্রনাট্য সাজিয়ে আবার ঝালাই করি। এরপর শুটিংয়ে নামি। এডিটিংয়ে সময় দিতে হয়। এভাবে দেখা যায় প্রতিটি নাটক বানাতে ৪৫ দিনের মতো লাগে। এভাবে কাজ না করলে আমি সত্যি শান্তি পাই না। এভাবে কাজ করি বলে কম কাজ হয়। তবে আমার কাজের একটা ফ্যান বেইজ রয়েছে। তারা আমার কাজগুলোর সবসময় অপেক্ষায় থাকে। তবে ‘জন্মদাগ’-এ বেশি সময় দিতে পারিনি। কারণ, চ্যানেল আইয়ের ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রচারের জন্য বানানোর তাড়া ছিল।

Reneta June

২০১৬ সালে ‘মোমেন্টস’ শর্টফিল্ম নির্মাণ করে বাজিমাৎ করেছেন। অনেকেই বলে থাকে, শর্টফিল্ম জিনিসটা নতুন করে পরিচিতি করিয়েছেন। এ কাজটি জোভান-নাদিয়ার ক্যারিয়ারের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট। নতুন শর্টফিল্ম কবে আসবে?
বাংলাদেশে এখন নাটকটাই বেশি নির্মিত হচ্ছে। তবে নতুন শর্টফিল্ম করবো এ মাসের শেষের দিকে শুটিং হবে। প্রথম আলোর চরকি প্রোডাকশনের ব্যানারে ফলজুর রহমান বাবু ও মনোজ প্রামাণিক কাজ করবেন। নিশো-মেহজাবীনকে নিয়ে সিরিয়াস কাজ করেছি। আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে রোমান্টিক কাজ করবো। নভেম্বরের শুরুতে এ কাজটা হবে। ওই কাজটা দর্শক ‘মোমেন্টস’, ‘মায়া’র ফিলটা পাবে। আমার এই দুটো কাজ দিয়ে আসলেই দর্শক নতুন করে শর্টফিল্ম চেনা শুরু করেছিল। তার আগে শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কেন্দ্রিক ছিল। এটা যে বাণিজ্যিকভাবেও করা যায় তার প্রমাণ হচ্ছে ‘মায়া’, ‘মোমেন্টস’।

প্রত্যেক নির্মাতার আল্টিমেট গোল হচ্ছে সিনেমা বানানো। আপনাকে সিনেমা নির্মাণে কবে পাবে দর্শক?
আমি মূলত গল্প বলতে পছন্দ করি। সেটা যে কোনো মাধ্যমেই হোক। একটু স্বার্থপরের মতো শোনা গেলেও বলতে হয়, আমি যে টাইপের সিনেমা বানাতে চাই সেই সময়টা এখন নাই। আমি আসলে সময় নিয়ে, গল্প নিয়ে কাজ করতে চাই। উদাহরণ হচ্ছে, ‘আয়নাবাজি’ টাইপের সিনেমা। দর্শক এ গল্প দেখার জন্য তৈরি থাকলেও আমাদের সিনেমার পুরো প্রক্রিয়াটা প্রস্তুত নয়। ভিন্ন গল্প বলতে হলে প্রযোজকের দিক থেকে বড় সাপোর্ট লাগবে। এমন সাপোর্ট যদি মিলে যায় তাহলে সিনেমা শুরু করবো। আল্টিমেট গোল সেটাই।

ISCREEN
BSH
Bellow Post-Green View