
ডিজিটালাইজেশন দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছে এবং এর ফলে কোভিড-১৯ মহামারিতে মানুষের জীবন অনেক সহজ হয়েছে।
এক প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের জানুয়ারিতে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ৪৭.৬১ মিলিয়ন এবং ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৭.৭ মিলিয়ন (+১৯ শতাংশ) বৃদ্ধি পায়।
শেয়ারইট একটি সাধারণ ফাইল-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চালু হওয়ার পর এর সাথে জড়িত টিম উপলব্ধি করে যে, এটি ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীতে কাউকে ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়ার মতো বিশ্বস্ত অ্যাপ, যার ফলে এটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপ হয়ে উঠছে।
আজ পর্যন্ত প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ব্যবহারকারী শেয়ারইট গ্রুপের অ্যাপ্লিকেশনের বৈচিত্র্যপূর্ণ স্যুট ইনস্টল করেছেন।

ই-কমার্স এবং মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্ল্যাটফর্মগুলোকে সুবিধাবঞ্চিত গ্রাহকদের সেবা প্রদানে সক্ষম করার মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়নে অবদান রাখছে শেয়ারইট। এটি কার্যকরী উপায়ে আরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডকে সহায়তা করে।
বিশ্বের সাতশো’রও বেশি বিজ্ঞাপনদাতা এবং তাদের বিদ্যমান ব্যবহারকারীদের কাজে লাগিয়ে শেয়ারইট সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি, ডিজিটাল পেমেন্ট অপশন এবং বিস্তৃত অডিয়েন্স নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইউজার মনিটাইজেশনে এর ক্লায়েন্টদের সহায়তা করে।
শেয়ারইট গ্রুপের পার্টনার ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট কারাম মালহোত্রা একে এমন একটি ‘শক্তিশালী ও উন্মুক্ত ইকোসিস্টেম’ হিসেবে অভিহিত করেন, যাতে বিভিন্ন ডেভেলপারের অ্যাপ রয়েছে।
তিনি বলেন, “শেয়ারইট ইন্টারনেট সংযোগ বা মোবাইল ডেটা ব্যবহার ছাড়াই বিভিন্ন ধরণের ফোনে নানাবিধ কনটেন্ট শেয়ারের সক্ষমতা প্রদান করে এবং এটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়।”
মালহোত্রা বলেন, “শেয়ারইট’র প্রবৃদ্ধি এই নীতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে যে, শেয়ারিং মানুষকে ভালো বোধ করায়, যা আমাদের উন্নত ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং ওয়ার্ড অব মাউথ মার্কেটিংয়ের ফলে আরও সহজ হয়েছে।”
প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটলেও সম্পূর্ণ ডিজিটাল এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অর্জনের জন্য আমাদের আরও অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক অবকাঠামো তৈরির লক্ষ্যে সকল বাঁধা ভাঙতে অনলাইন ও অফলাইন ডিজিটাল কন্টেন্ট এবং ফাইল-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করে শেয়ারইট।